Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিলিয়ান

খিদিরপুর বসতির চালচিত্র হলিউডি ছবিতে, বিখ্যাত পরিচালকের ফ্রেমে শহরের ‘স্লামগার্ল’

অভিনেত্রীর তালিকায় কেট উইন্সলেট, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নাম।

Hollywood director Jack Sholder to film Kidderpore slumgirl Jillian Haslam
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 16, 2019 9:38 pm
  • Updated:May 16, 2019 9:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘিঞ্জি, শ্যাওলা ধরা স্যাঁতস্যাঁতে গলি। দু’চোখ খুব বেশি দূরে যাওয়ার মতো জায়গাও নেই! যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকেই ঝুপড়ি, ময়লা ত্রিপল। আর বর্ষাকালে তো কথাই নেই.. চলার পথে সঙ্গী কাদা। ঠিক এরকম পরিবেশেই বেড়ে ওঠা জিলিয়ান হাসলামের। এককালের খিদিরপুর বসতি এলাকার এই বাসিন্দার জীবন কাহিনী এবার উঠে আসবে হলিউড পরিচালক জ্যাক শোল্ডারের ফ্রেমে।

জিলিয়ান বর্তমানে ব্রিটেনের বাসিন্দা। তবে, বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত জিলিয়ান এখনও ভোলেননি তাঁর শিকড়। ভোলেননি খিদিরপুরের সেই দিনগুলো। সেই স্মৃতিকে পাথেয় করেই লিখে ফেলেছেন জীবনপঞ্জি- ‘ইন্ডিয়ান, ইংলিশ’। তাঁর এই জীবনপঞ্জি অবলম্বন করেই তৈরি হচ্ছে জ্যাক শোল্ডারের ‘স্লামগার্ল মিলিওনিয়ার’। খুব শিগগিরিই হয়তো জ্যাককে সঙ্গী করে জিলিয়ান হাসলাম পা রাখবেন তাঁর জন্মস্থান কলকাতায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত খুদে ভারতীয় অভিনেতা সানি

Advertisement

ছবির শুটিং হবে কলকাতায় এবং ব্রিটেনে। আপাতত কাজ চলছে। আর চিত্রনাট্য লিখছেন হলিউডের খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার জশুয়া রাসেল। হাসলামের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নাম উঠে এসেছে হলিউডের দুই বিখ্যাত অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। রেইকির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে শুটিং।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে হাসলাম ব্রিটেনের নাগরিক হলেও, একটা সময়ে মা-বাবার সঙ্গে এই শহরের বুকেই থাকতেন। খিদিরপুরের সেই বসতি, তাদের একরত্তি ঝুপড়ি, ভাইবোন ও মাকে নিয়ে আশ্রয় নেওয়া সেই বাড়ির সিঁড়ির কোণা, যেসব বাড়িতে মা কাজ করতেন… কিছুই ভোলেননি জিলিয়ান হাসলাম। ১২ জনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম সন্তান। বাবা রোনাল্ড হাসলাম এবং মা মার্গারেট জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হলেও কর্মসূত্রে কলকাতায় আসেন সেসময়। তাঁর বাবা রোনাল্ড ব্রিটিশ সেনায় কর্মরত ছিলেন। তবে, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে চাননি। তাঁর প্রিয় শহর কলকাতায় থাকার মাশুল গুনতে হয়েছিল পরিবারকে। কারণ, ভারতের কোনও কোম্পানি রোনাল্ডকে চাকরি দিতে চায়নি। শুরু হয় দুর্দিন, আধপেটা খাওয়া। অন্যদিকে, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে হাসলামের চার ভাইবোন। একসময়ে এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান হাসলাম। মোড় ঘোরে তাঁর জীবনের। ব্রিটেনে চলে যান। এখন তাঁর লেখা বইয়ের জুটেছে ‘বেস্ট সেলার’-এর তকমা। কলকাতায় আসবেন বলে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত একসময়ের ‘স্লামগার্ল’ হাসলাম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ