সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে তাঁর বহু দিনের। বাংলাদেশের নির্বাচনে লড়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন। তবে ধোপদূরস্ত রাজনীতিক হওয়ার ইচ্ছে তাঁর এখনও ষোলো আনা। এবার বাংলাদেশে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পথে, তখন হিরো আলম সেই সরকারের মন্ত্রীসভায় থাকার আবদার জানালেন।
বিগত কয়েক বছরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েছেন অভিনেতা, গায়ক তথা সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিরো আলম। ভোটের ময়দানেও কখনও নিগ্রহের শিকার হয়ে আবার কখনও বা তাঁর ভোটের ফল নিয়ে চর্চার শিরোনাম যেমন হয়েছেন, তেমনই হাসির খোরাকও হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে হিরো আলম তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বাও দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে পদত্যাগ করার পরও পথে নামেন তিনি। এবার পদ্মাপারে যখন সেনাবাহিনীর তরফে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে চলেছে, তখন মন্ত্রীত্ব চেয়ে বসলেন হিরো আলম।
সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন, “আমি মন্ত্রী হতে চাই। আজ থেকে চোখের সামনে অন্যায় হলে তৎক্ষণাৎ রুখে দাঁড়াব। কোনও সরকারি অফিসে কাজ হাসিলের জন্য একটা টাকাও দেব না। রাস্তায় আবর্জনা ফেলব না। ট্রাফিক আইন মেনে চলব। প্রত্যেকটা মানুষের অধিকারের জন্য সরব হব। দেশের প্রথম পরিবর্তনটা আমার থেকেই শুরু হোক।” এদিকে বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন প্রাঙ্গনে শিল্পীদের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন আলম। ইউটিউবারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানেই হেনস্তা হতে হয় তাঁকে। টেনে-হিঁচড়ে বের করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মন্ত্রীত্ব চেয়ে আবারও হাসির খোরাক হিরো আলম।
সোমবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সঙ্গে সঙ্গে পতন হয় আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পরেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই হাসিনার পতন বলে মনে করছেন অনেকে। হাসিনা সরকার পতনের পরে বাংলাদেশে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলেই অনুমান ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে সেনাশাসন কোনওমতেই মেনে নেওয়া হবে না। বরং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হোক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসকে।
মঙ্গলবার দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের দাবিই মানল সেনা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাতেই জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। প্রথম থেকেই এই দাবি জানিয়ে এসেছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, হাসিনা জমানায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বাংলাদেশের তৎকালীন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনুস-সহ চারজনকে ছমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.