সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্মৃতিটুকু থাক। তাতেই প্রতিপালিত হোক ‘বেলাশুরু’র (Belashuru) ভালবাসা। ভাল-খারাপের উর্ধ্বে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনীত ছবিটি। এমনটাই মনে করেন সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini Sengupta)। বন্ধুদের ছবিটি দেখার অনুরোধ জানান সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু (Poulami Bose)।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। ঠিক তাঁর পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৬ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta) । কিন্তু ‘বেলাশেষে’ এবং ‘বেলাশুরু’র বিশ্বনাথ ও আরতি হয়ে দর্শকদের মনের মণিকোঠায় তাঁরা অমর হয়ে থাকবেন। ছবির প্রসঙ্গে কথা বলতে আবেগঘন হয়ে পড়েন স্বাতীলেখা কন্যা সোহিনী। বলেন, “এমন মানুষ ফিরে আসবে না।”
সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার জন্য তিনি কতটা গর্বিত তা ভিডিও বার্তায় জানান সোহিনী। তাঁর এই ভিডিওটি আপলোড করেন ছবির অন্যতম পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর মতে এমন অভিনেতাদের হলিউডে থাকা উচিত। নৌকার মধ্যে একটি বিশেষ দৃশ্যের উল্লেখ করেন সোহিনী, যেখানে আরতি (স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর চরিত্র) মায়ের কাছে ফেরার আবদার জানাতে থাকেন। মৃত্যুর আগে স্বাতীলেখাও একই কথা বলতেন বলে জানান সোহিনী। বিশ্বনাথ যেভাবে আরতির খেয়াল রেখেছিলেন, বাস্তবে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তও সেভাবে স্ত্রী স্বাতীলেখার খেয়াল রাখতেন বলে জানান সোহিনী। ছবির প্রশংসা করতে গিয়ে শঙ্খ ঘোষের লেখা কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়…”
বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলাশুরু’ মন ছুঁয়ে গিয়েছে পৌলমী বসুর। ছবির সঙ্গে একাত্ম হতে পারছিলেন তিনি। বাবাকে ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি হচ্ছিল। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত কয়েকটি দৃশ্য দেখে তাঁর গায়ে কাঁটা দিয়েছে বলেই জানান পৌলমী। এই বয়সেও যে রোম্যান্টিক নায়ক হওয়া যায়, তা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে গেলেন বলে মত পৌলমীর। ফেসবুকে ছবিটি দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.