অভিরূপ দাস: আগের তুলনায় স্থিতিশীল গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukherjee) শারীরিক অবস্থা। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে বলেই খবর। তবে শিল্পীর ফিমার বোন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। শোনা যাচ্ছে, প্রয়োজনে ফিমার বোনের অস্ত্রোপচার করা হতে হতে পারে। আর তা কাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত কোভিড (COVID-19) পজিটিভ রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয় না। তবে কিংবদন্তি শিল্পীর ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে PPE কিট পরেও অস্ত্রোপচার করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ব্যথা কমাতে আপাতত উচ্চমাত্রার পেন কিলার দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
গত বুধবার রাতে নাকি বাথরুমে পড়ে যান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। গ্রিন করিডর করে শিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ওয়ার্ডে ১০৩ নম্বর বেডে তাঁকে রাখা হয়। শিল্পীর চিকিৎসার জন্য ৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা হয়। শিল্পীকে দেখতে যান মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে কিংবদন্তি শিল্পীকে।
সেদিনই গ্রিন করিডরে অ্যাপোলোতে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ৯০ বছরের কিংবদন্তি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিশাল দল প্রতিমুহূর্তে শিল্পীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছেন। উল্লেখ্য, হাসপাতালে যখন কিংবদন্তি শিল্পীকে ভরতি করা হয়েছিল, তখন তাঁর পদবি হিসেবে লেখা হয় গুপ্ত। কারণ বিবাহ সূত্রে শিল্পীর পদবি তাই। ১৯৬৬ সালে কবি, গীতিকার শ্যামল গুপ্তর সঙ্গে বিয়ে হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার যখন ৯০ বছরের গীতশ্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়, তখন স্বামীর পদবিই তাঁর নামের পাশে ব্যবহার করা হয়। অ্যাপোলোতে ভরতির সময়ও তাই-ই লেখা হয়।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই পদ্মশ্রী প্রত্য়াখ্যান করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। যা নিয়ে নানা মহলেই শুরু হয় আলোচনা। এত বছর পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীকে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্তে রীতমতো কটাক্ষের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, শিল্পী নিজেই জানিয়েছেন, খুবই অপমানজনকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ফোন করে তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। অপমানিত হয়েই পদ্মশ্রী প্রত্য়াখ্যান করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.