সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চটজলদি বড় হতে হরমোন ইঞ্জেকশন দিতেন তাঁর মা। এমন কথা এক সময় শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রী হংসিকা মোটওয়ানিকে (Hansika Motwani)। কিন্তু এ রটনা যে একেবারেই ঘটনা নয় তা জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। কেন? কারণ সূচে তাঁর প্রবল ভয়।
হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী ছিলেন হংসিকা। প্রথমে ‘সাকা লাকা বুম বুম’, পরে ‘দেশ মে নিকলা হোগা চাঁদ’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। তারপরই শিশুশিল্পী হিসেবে ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’, ‘হাম কৌন হ্যায়?’, ‘আবরা কা ডাবরা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পুরী জগন্নাথের তেলুগু সিনেমা ‘দেশামুদুরু’র মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে সফর শুরু করেন হংসিকা। সেই সিনেমার জন্য দাক্ষিণাত্যের সেরা নবাগতা নায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পান।
কিছুদিন আগেই হংসিকার জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। হটস্টারের ‘হংসিকা’স লাভ শাদি ড্রামা’ শোয়ে হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন হংসিকা ও তাঁর মা মোনা। শোয়ের দ্বিতীয় এপিসোডে হংসিকা জানান, ২১ বছর বয়সে তাঁকে শুনতে হয়েছিল, হঠাৎ বেড়ে ওঠার জন্য তাঁর মা নাকি তাঁকে হরমোন ইঞ্জেকশন দিতেন। এ কথা খবর হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছিল। হংসিকা জানান, এটা যে একটা মিথ্যে, গুজব তা সেই সময় তাঁর বলার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু এখন অনায়াসেই জবাব দিতে পারেন।
View this post on Instagram
এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে ব্যঙ্গের ছলেই অভিনেত্রীর মা বলেছিলেন, এমন কোনও রহস্য জানা থাকলে তো তিনি টাটা কিংবা বিড়লাদের মতো বড়লোক হয়ে যেতেন। পাঞ্জাবিদের ১২-১৬ বছরের মধ্যে গ্রোথ বেশি হয় বলেও জানান তিনি। এবার নতুন তথ্য জানালেন হংসিকা। অভিনেত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ইঞ্জেকশন নিতে পারেন না তিনি। কারণ সূচে প্রবল ভয় তাঁর। এর জন্য নিজের শরীরে একটা ট্যাটু পর্যন্ত আঁকাতে পারেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.