সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আমেজ এখনও কাটেনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। স্ত্রী মিথিলার সঙ্গে হানিমুন সেরে কিছুদিন আগে বাংলাদেশে শ্বশুরবাড়ি ফিরেছেন তিনি। জামাই আদরের সেই ছবি সৃজিত পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাঁকে।
কিছুদিন আগে সৃজিত টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে বেশ মজায় ভুরিভোজ সারছেন তিনি। মেনুতে ছিল ঝিরি ঝিরি আলুভাজা, লটে শুঁটকি, ডাল, কড়াইশুঁটি দিয়ে পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল আর বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোস্ত। ছবির ক্যাপশনে সেকথা লিখেছিলেন তিনি। এরপরই বাঁধল গন্ডগোল। নেটিজেনরা পরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। কেউ লেখেন, “আপনাদের জন্য হিন্দুধর্ম আজকে বিপন্ন পথে”। কেউ আবার লিখেছেন, “গরূর গোস্ত খান আর স্ত্রীর মতো আর দুটো বিয়ে করূন, তবেই তো বাঙালি জাতি গর্ব অনুভব করবে আপনার জন্য ।” কেউ তো সরাসরি সৃজিতের পদবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। লিখেছেন, “কেন নিজেকে ব্রাহ্মণ পদবি দিয়ে পরিচয় দিচ্ছেন?”
গরূর গোস্ত খান আর স্ত্রীর মতো আর দুটো বিয়ে করূন, তবেই তো বাঙালি জাতি গর্ব অনুভব করবে আপনার জন্য ।
— Surajit Das (@experiencedsura) December 20, 2019
কেনো নিজেকে ব্রাহ্মণ পদবি দিয়ে পরিচয় দিচ্ছেন,,,
— Rony Bhattacharya (@RonyBha32563309) December 20, 2019
যদিও সৃজিত নিজে এর উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। কাউকে তিনি ‘ভিঞ্চি দা’ ছবির সংলাপ ‘উৎসর্গ’ করেছেন, কাউকে আবার লিখেছেন, “হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋক বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রর কিছু শ্লোক দেব খাওয়াদাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।”
তবে সমালোচনার জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে সৃজিত পাশে পেয়েছেন অনুরাগীদেরও। কেউ লিখেছেন, “আমি আমার কষ্টার্জিত টাকা এ গরুর মাংস খেলাম না কুমির খেলাম না অ্যাভোকাডো খেলাম আর ফ্রিজে কী রাখলাম সেটা তো পুরোপুরি আমার ব্যাপার। দত্ত vs দত্ত এ একটা খুব ভালো ডায়ালগ ছিল দীপঙ্কর দে’র – তোর নারায়ণ ভেজিটেরিয়ান কিনা কি করে জানলি?” কেউ আবার লিখেছেন, খাবারের কোনও জাত বা ধর্ম হয় না । খাবার হল ভালোবাসা আর তৃপ্তির বিষয়। একজন তো কড়া ভাষাতেই জবাব দিয়েছেন, “সৃজিত বাবুকে তথাকথিত মহান হিন্দু যারা গালি দিচ্ছেন, তারা কি জানেন যে হিন্দু আসলে একটি সভ্যতা ও সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতি জানে পর কে আপন করে নিতে। তাই আর্যেতর দেবতাও এই সংস্কৃতি তে আরাধ্য দেবতা হিসেবে পূজিত হন।” আবার কেউ পোস্ট করেছেন, “ভাই, তোমাকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে পাঠ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ভালমতো দিয়েছেন এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে একটা পরামর্শ নাও। যে ব্যক্তিকে ঘৃণা করবে, সমালোচনা করবে তার সমতুল্য জ্ঞানী হবে বা তার জ্ঞানের ছিটেফোঁটা অর্জন করে আসবে। নইলে উলটো বাঁশ সামলানো বেশ কষ্টকর।”
এবার detail এ দেখলাম ধর্মের ব্যাপার টা।sad case!!! আমি আমার কষ্টার্জিত টাকা এ গরুর মাংস খেলাম না কুমির খেলাম না avocado খেলাম আর fridge এ কি রাখলাম সেটা তো পুরোপুরি আমার ব্যাপার। দত্ত vs দত্ত এ একটা খুব ভালো dialog ছিল দীপঙ্কর দে র – তোর নারায়ণ vegetarian কিনা কি করে জানলি?
— Prabal Majumdar (@hijibijihulo) December 20, 2019
খাবারের কোনো জাত বা ধর্ম হয়না । খাবার হলো ভালোবাসা আর তৃপ্তির বিষয় ❤
— SOUMENDU CHANDRA (@Chandra_Aum) December 20, 2019
সৃজিত বাবু কে তথাকথিত মহান হিন্দু যারা গালি দিচ্ছেন, তারা কি জানেন যে হিন্দু আসলে একটি সভ্যতা ও সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতি জানে পর কে আপন করে নিতে। তাই আর্যেতর দেবতাও এই সংস্কৃতি তে আরাধ্য দেবতা হিসেবে পূজিত হন।
— Pinaki Biswas (@OfBiswas) December 20, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.