সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) ভোর মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর চণ্ডীপাঠ। বাঙালির দেবীপক্ষের শুরু এই কণ্ঠেই হয়। এবার মীরের (Mir Afsar Ali) কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন এক অনুরাগী। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই এই আবদার জানান তিনি। যার উত্তর দেন তারকা।
তুষার সেনগুপ্ত নামের ওই অনুরাগী মীরকে ট্যাগ করে লেখেন, মীরের ভরাট কণ্ঠে আবেগ, অভিনয় সবই রয়েছেন। তাই এমন কণ্ঠে তাঁর চণ্ডীপাঠ শোনার ইচ্ছে রয়েছে। তারকা একটিবার চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। তাঁর এই পোস্টে ‘নস্টালজিয়ায় ভোগা পাবলিক’রা তেড়ে আসতে পারেন এবং ‘হিন্দুভীর’রা’ ত্রিশূলের খোঁচা মারতে পারেন, তা জেনেই পোস্টটি করেছেন বলে জানান তুষার। আর তার এই পোস্ট শেয়ার করে মীর লিখেছেন, “ধৃষ্টতা নেই। মার্জনা করবেন। তবে তুষার সেনগুপ্ত, আপনি যে আমাকে নিয়ে এটা ভেবেছেন, এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।”
উল্লেখ্য, গত শতকের তিনের দশক থেকে রেডিওয় বেজে ওঠা মহালয়ার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে রয়েছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কণ্ঠস্বর। ভোরের ময়ূরকণ্ঠী নীলচে অন্ধকার আর বাতাসে শিউলি-সুবাসের সঙ্গে যা এক অনন্ত জলছাপের মতো লেগে রয়েছে। হয়ে উঠেছে অনতিক্রম্য।
১৯৭৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মহালয়ার ভোরে ‘দেবীং দুর্গতিহারিণীম’ নামে এক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছিল। মহানায়ক উত্তমকুমার ছিলেন সেই অনুষ্ঠানের প্রধান ভাষ্যপাঠক। বাঙালি যে তাঁকেও মেনে নেয়নি, তা এক নাগরিক কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে। যে কিংবদন্তি আসলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের চিরকালীন ম্যাজিকেরই এক সম্প্রসারিত অংশ। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এ কেবল একটি রেডিও অনুষ্ঠান নেই আজ আর, বরং বাঙালি সংস্কৃতির অভিজ্ঞান অঙ্গুরীয়। বাঙালির ঘরদুয়ারে পুজোর শুরু বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর চণ্ডীপাঠেই। এহেন চণ্ডীপাঠ তাঁর কণ্ঠে অনুরাগী শুনতে চেয়েছেন, একেই প্রাপ্তি বলে মেনে নিয়েছেন মীর। তবে অনুরোধটি যে তিনি রাখতে পারলেন না তা বীনিতভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.