Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রয়াত উত্তমকুমারের সহ-অভিনেতা ফকিরকুমার দাস, সিনেমহলে শোকের ছায়া

বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার।

Fakir Kumar Das, co-actor of Uttam Kumar, died
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 20, 2020 8:49 pm
  • Updated:February 20, 2020 8:49 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: তাপস পালের মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি টলিউড। এর মধ্যেই চলে গেলেন আরও এক অভিনেতা। ফকির কুমার দাস। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রায় দেড়শোটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে ১৪টি সিনেমায় সহ-অভিনেতা ছিলেন ফকিরবাবু। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বর্ধমানে। প্রয়াত অভিনেতার বাড়ি মেমারির সেনপুরে। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, মেমারি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুর্মু প্রমুখ। নার্সিংহোমে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল। সংস্কৃতি জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

fakir-das

Advertisement

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন শিল্পী। তাঁর তিনপুত্র, দুই কন্যা, পুত্রবধূ, নাতি, নাতনিরা বর্তমান। খুব কম বয়সেই টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় পা রেখেছিলেন ফকিরবাবু। মূলত কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানায়ক উত্তম কুমারের খুবই স্নেহভাজন ছিলেন ফকিরবাবু। তাঁর বাড়িতেও অবাধ যাতায়াত ছিল ফকিরবাবু। তাঁর মায়ের হাতের তৈরি চালভাজা, নাড়ু খেতে ভালবাসতেন মহানায়ক। ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে গেলেই চালভাজা, নাড়ু নিয়ে যেতেন ফকিরবাবু। উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘জয় জয়ন্তী’, ‘বিকেলে ভোরের ফুল’, ‘মৌচাক’, ‘কায়াহীনের কাহিনী’, ‘রাতের রজনীগন্ধা’, ‘দুই পুরুষ’, ‘প্রথম কদমফুল’-সহ ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফকিরবাবুর।

[ আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়ান-২’ ছবির সেটে দুর্ঘটনা, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ কমল হাসানের ]

সদ্যপ্রয়াত তাপস পালের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দামাল ছেলে’, ‘রাজেশ্বরী’ উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি, বেতার নাটক, যাত্রামঞ্চেও সমানতালে অভিনয় করেছেন। বহু নাটকেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ফকিরবাবু। নাটক ও যাত্রামঞ্চে অভিনয়ের সূত্র ধরেই তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন। শুধু বাণিজ্যিক সিনেমাতেই নয়, আর্ট ফিল্মেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এই শিল্পী। মহানায়কের সঙ্গে ফকিরবাবুর একটি ছবিতে অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন উত্তম কুমার। তাতে মহানায়ক লিখেছিলেন, বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকু জানি। ১৯৭১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তমকুমার সেই অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন ফকিরবাবুকে। বার্ধক্যজমিত কারণে সিনেমার জগত ছেড়ে সেনপুরের বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় কাটাতেন। তবে সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল তাঁর। এদিন বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেনপুরের বাড়িতে।

[ আরও পড়ুন: ‘কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পুড়ে ছাই মারুতির সার্ভিস সেন্টার’, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষুব্ধ মিমি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement