গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘তারকার মৃত্যু’। চলতি সপ্তাহে মুক্তির অপেক্ষায় ‘পাকদণ্ডী’। এরই মাঝে প্রাণখোলা আড্ডায় পার্ণো মিত্র (Parno Mittrah)। কথা বললেন সুপর্ণা মজুমদার।
কেমন আছ? পুজোর কী প্ল্যান?
পুজোর আলাদা করে কিছু প্ল্যান নেই। কারণ আগে থেকে কিছু প্ল্যান করি না। পুজোর সময় প্ল্যানটা হয় আর কী!
কলকাতায় থাকছ না বাইরে যাচ্ছ?
থাকতেও পারি, আবার বাইরে কোথাও চলে যেতে পারি। ছোটবেলার মতো এখন আর আলাদা করে কোনও কিছুই প্ল্যান হয় না।
বেশ এবার সিনেমার কথায় আসা যাক। ‘অঙ্ক কী কঠিন’ শুটিং শেষ? আর ‘বনবিবি’?
বৃষ্টির জন্য ‘অঙ্ক কী কঠিন’-এর শুট পিছিয়ে যাচ্ছে বারবার। আর কয়েক দিন মতো বাকি আছে। ‘বনবিবি’ রেডি। কবে মুক্তি পাবে, সেটা প্রযোজকই বলতে পারবেন।
গত সপ্তাহে তারকার মৃত্যু মুক্তি পেল? কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছ?
সবার তো ভালোই লাগছে। রঞ্জিত স্যারকে এতদিন পর দেখে ইন্টারেস্টিং লেগেছে লোকজনের। সবার মজাই লাগছে। সো ইট’স নাইস।
রঞ্জিত মল্লিক ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ঋত্বিকের সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। ভালো লাগে কাজ করতে। রঞ্জিত স্যারের সঙ্গে খুবই কম সিন রয়েছে। যেটুকু আছে, বেশ ভালো অভিজ্ঞতা।
এবার তো ‘পাকদণ্ডী’ মুক্তি পাচ্ছে।
বাকিদের থেকে আমার গল্পটা আলাদা। বাকি কাস্টের সঙ্গে কোনও লিংক নেই। বনি মানে বনির চরিত্রের সঙ্গে আলাপ হয়। সে আমাকে বাঁচায়। দুজনের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিউট মানে, এই চরিত্রটা সিনেমার মধ্যে সবেচেয়ে সুন্দর আর মজার চরিত্র। একটা রিলিফ বলা যায়। আর বনিকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকে চিনি। ও খুব সুইট। খুব ভাল লেগেছে কাজ করে।
আচ্ছা, তুমি তো টেলিভিশন করেছিলে মাঝে…
আমার শুরু টেলিভিশন দিয়ে। যেখানে ইন্টারেস্টিং কাজ হবে সেখানেই কাজ করত। এখন তো আর মিডিয়াম ইম্পর্টেন্ট নয়। বলিউডে যাঁরা বড় স্টারস তাঁরাও তো এখন OTT-তে কাজ করছেন। পুরো এন্টারটেইনমেন্টটা কনটেন্ট ড্রিভেন হয়ে গেছে। ফিল্ম বলো, সিরিয়াল বলো। কনটেন্ট ড্রিভেন কাজ করতে চাই। যেখানে কনটেন্ট ভাল সেখানে কাজ করব।
বলিউডে বা প্যান ইন্ডিয়া সিনেমার কথা ভেবেছো?
ভাবলেই হয় না। অফার আসলে কাজ হয়। একটা ছবি হয়েছে। এটা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিন্দি ফিল্ম। সেটা OTT-তে দেওয়া হবে না থিয়্যাট্রিকাল রিলিজ হবে সেটা ওরা ডিসাইড করছে। দেখা যাক, কী করে। নানা ফেস্টিভ্যালে পাঠানো হয়েছে।
পার্টিতে কম দেখা যায়…
ক’টা পার্টি হয় কলকাতা শহরে? আগের মতো ওরকম পার্টি হয়ও না গো!
তাহলে কি তুমি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য?
বাড়িতে থাকতে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ্য। আমি নিজের স্পেস পছন্দ করি। অনেকে একা থাকতে ভালোবাসে না লোনলি লাগে। কিন্তু আমার সেটা লাগে না। একা থাকতে খুব ভালো লাগে। নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। দু’টো ছানা আছে, ওদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভাল লাগে।
সোশাল মিডিয়াকে কতটা গুরুত্ব দাও?
যেটুকু দরকার, প্রয়োজন। তার থেকে বেশি নয়। প্রয়োজনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলেই সমস্যা। আমায় খুব বেশি সোশাল মিডিয়ায় দেখতে পাবে না। যেটুকু দরকার, সেটুকু থাকি। তার বেশি একদম না।
আর ট্রোল, কটাক্ষ, বিদ্রুপ?
এখন আর বদার করে না। আর দেখিও না। কমেন্টস পড়াও হয় না। এখন দেখলে হাসি পায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.