সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে তাঁর আসন টলেছে। বিদায় নিয়েছেন ‘সংস্কারি’ পহেলাজ নিহালানি। বিদায়-লগ্নে তিনি খুশি ও স্বস্তির একটি সুন্দর অনুভূতি উপহার দিয়ে গিয়েছেন চলচ্চিত্র জগতে। বিশেষ করে প্রযোজক ও পরিচালক মহলে। কিন্তু স্বেচ্ছায় এ আসন তিনি ছাড়েননি। নিজেরই কাঁচির অপ্রয়োজনীয় ধারে ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর এর নেপথ্যে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে সদ্য নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। কিন্তু স্মৃতির এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কার ইন্ধন আছে জানেন?
পহেলাজের এই বিদায়ের নেপথ্যে আসলে রয়েছেন টেলিভিশন ক্যুইন একতা কাপুর। সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে এখন চাউর হয়েছে এ খবর। শোনা গিয়েছে, বহু দিন ধরেই প্রাক্তন সেন্সর প্রধানের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন একতা। এই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’র সময়। ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের দ্বায়িত্বে ছিল একতার ‘বালাজি মোশন পিকচারস’। পহেলাজের সংস্কারি সেন্সরের দৌরাত্মে বেশ ঝড়-ঝাপটা পোহাতে হয়েছে সে ছবিকে। শেষে ফিল্ম সার্টিফিকেশন অ্যাপেলেট ট্রাইবুনালের মাধ্যমে মুক্তির তারিখ ছিনিয়ে নেয় টিম ‘লিপস্টিক’। কিন্তু এরপরই নাকি পহেলাজের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিলেন একতা।
[বিকিনিতে লাস্যময়ী হয়ে নেটদুনিয়ায় ঝড় তুললেন এই অভিনেত্রী]
একতার ‘কিউকি সাঁস ভি কভি বহু থি’র হাত ধরেই পরিচিতি পেয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তখন থেকেই দু’জনের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অটুট রয়েছে সেই বন্ধুতা। তাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ভার অস্থায়ীভাবে স্মৃতির উপর পড়তেই নাকি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন টেলিভিশন ক্যুইন। এরই মধ্যে চলে আসে ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’। ৪৮টি দৃশ্য বাদের বিনিময়ে ছবিকে ছাড়পত্রের নিদান দিয়েছিল পহেলাজের সিবিএফসি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন পরিচালক কুশান নন্দীও। এই দুইয়ে মিলেই পহেলাজের বিরুদ্ধ শিবিরের অভিযোগের ওজন বেড়ে যায়। আর স্মৃতি ইরানি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেন। আর সেই সৌজন্যেই বন্ধুমহলে এখন বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
[প্রশংসা করেও অক্ষয়ের ছবিকে সমালোচনাতেই বিঁধলেন তসলিমা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.