Advertisement
Advertisement
ইডি রিয়া চক্রবর্তী

সুশান্ত ইস্যুতে ইডির দপ্তরে টানা ১৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা রিয়া চক্রবর্তীর ভাইকে

সোমবার ফের রিয়া চক্রবর্তীকে তলব ইডি'র।

ED interrogate Rhea Chakraborty's brother for 18 long hours
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 9, 2020 1:40 pm
  • Updated:August 9, 2020 1:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১৮ ঘণ্টা রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) ভাইকে ইডির দপ্তরে জেরা করা হল। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছিল শনিবার বেলায়, আর সেটাই শেষ হল রবিবার। সূত্রের খবর, আজ সকালে হন্তদন্ত হয়ে ইডির দপ্তর থেকে বেরতে দেখা গিয়েছে রিয়ার ভাই সৌহিক চক্রবর্তীকে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের অফিসে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। দিন সঙ্গে ছিলেন সৌহিকও। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে শনিবারই ফের ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, সারা রাত ধরে দফায় দফায় জেরা করা হয় সৌহিককে। উল্লেখ্য, সুশান্তের তিনটি কোম্পানির মধ্যে একটির অংশীদার হিসেবে তাঁর নামও ছিল। সেই সুবাদেই সৌভিক যে সংস্থার ডিরেক্টর, তার আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে কোথায় কোথায় টাকা পাঠানো হয়েছে, ১৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় যাবতীয় বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয় সৌহিককে। এবার ভাইয়ের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতেই ফের সোমবার ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে রিয়া চক্রবর্তীকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুশান্ত ইস্যুতে মুম্বই পুলিশের অনুমতি না নিলে CBI’কেও আইসোলেশনে যেতে হবে, বিস্ফোরক মেয়র]

অন্যদিকে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইডির তদন্তে তিনি ‘অসহযোগিতা’ করছেন। সম্পত্তি এবং ২টি ফ্ল্যাটের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হলেও অভিনেত্রী সেসব দলিল এবং তথ্য ছাড়াই শুক্রবার সকালে ইডির দপ্তরে হাজির হন। যথারীতি এপ্রসঙ্গে ইডির তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিয়া বলেন, “তিনি ভুলে গিয়েছেন কোথায় ফ্ল্যাট-বাড়ির কাগজপত্র রেখেছেন।” স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না তদন্তকারীরা। আর তার রেশ ধরেই ইডির দপ্তরে ভাই সৌহিক চক্রবর্তীকে শনিবার বিকেল থেকে রবিবার সকাল অবধি জেরা চলে।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) ব্যাংক অ্যাকউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ইডি’র তরফে (Enforcement Directorate)। অভিনেতার বাবার দায়ের করা মামলায় সৌহিকের নামও রয়েছে। তার রেশ ধরেই সৌহিককে জেরা করা হয়।

অন্যদিকে দিশা সালিয়ানের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পর নাকি নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তার রেশ ধরে নেটজনতারা প্রশ্ন তুলেছেন যে, তারপরও এটাকে কীভাবে আত্মহত্যা বলা যায়? যদিও এই বিষয়ে কোনওরকম উচ্চবাচ্য করেনি দিশার পরিবার কিংবা মুম্বই পুলিশের তরফে কেউই।

[আরও পড়ুন: গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা নেই, ভাল রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement