গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: স্টেরয়েডের ডোজ কমানোর পরই বেড়ে গিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) আচ্ছন্ন ভাব। বর্ষীয়ান অভিনেতার মস্তিষ্কের চেতনাও কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও তাঁর শারীরিক অবস্থা একইরকম ছিল। বরং হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় রক্ত দিতে হয়েছিল। অটোইমিউন এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত সৌমিত্রবাবু। বেলভিউ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোভিড এনসেফেলোপ্যাথি না কাটলে শারীরিক অবস্থা বদলাবে না।
স্থিতিশীল থাকলেও গত চার দিন ধরে একই রকম দুর্বল এবং অসংলগ্ন প্রবীণ অভিনেতা। কথা বলছেন না। মুখ দিয়ে খেতে পারছেন না। তাঁর স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। স্টেরয়েডের মাত্রা কমানোর জন্যই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার কারণে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্টেরয়েড ছাড়া কীভাবে তাঁকে স্বাভাবিক করা যায়। সৌমিত্রবাবুর ফিজিয়োথেরাপির সঙ্গে স্পিচথেরাপি বা কথা বলানোর চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন লাভ হয়নি।
ডাক্তারদের মতে, এমনিতে প্রবাদপ্রতীম শিল্পী এখন কার্যত বিপন্মুক্ত। তবে স্বাভাবিকতায় ফিরতে তাঁর সময় লাগছে। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে উৎকণ্ঠা রয়েছে। শোনা গিয়েছিল, অমিতাভ বচ্চনও সৌমিত্রবাবুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য তাঁর পরিচিত। তাঁর মাধ্যমেই নাকি সৌমিত্রবাবুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন তিনি।
৬ অক্টোবর করোনা (CoronaVirus) পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পর বিগত কিছু দিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ৯ অক্টোবর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। দু’বার হয় প্লাজমা থেরাপি। বাই প্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রবাদপ্রতীম শিল্পীকে। টলিউড তারকাদের পাশাপাশি আরোগ্য কামনা করেছিলেন অসংখ্য অনুরাগীরা। কিছুদিন আগেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা (COVID-19) নেগেটিভ হওয়ার খবর মেলে। তারপর থেকেই ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তবে এবার বর্ষীয়ান অভিনেতার স্নায়ুর সমস্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.