সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলসূত্র নাকি অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন? নতুন বিজ্ঞাপনটি সামনে আসতে এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়কে (Sabyasachi Mukherjee)। নেটিজেনদের একাংশের তুমুল নিন্দা রোষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। কারণ, এই বিজ্ঞাপনে কালো অন্তর্বাস পরিহিত মডেলের শরীরের অনেকটা অংশই খোলামেলা ছিল। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, আইনি নোটিস। এত রকমের প্রতিকূলতার চাপে পড়ে পিছু হঠতে কার্যত বাধ্য হলেন ডিজাইনার সব্যসাচী। বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিল তাঁর টিম।
জনপ্রিয় ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি মঙ্গলসূত্রর (Mangalsutra) বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত সপ্তাহে তিনি সব্যসাচী ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপনের ছবি পোস্ট হতেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। নেটিজেনদের কথায় – পবিত্র একটা গয়না নিয়ে ‘নোংরামি’ করেছেন ডিজাইনার। কিন্তু কেন এই বিতর্ক? সব্যসাচীর শেয়ার করা বিজ্ঞাপনের ছবিতে দেখা গিয়েছে, নারীর পরনে অন্তর্বাস, গলায় ঝুলছে সব্যসাচীর ডিজাইন করা মঙ্গলসূত্রটি। পাশের পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন ওই মডেল।
এই ছবি দেখেই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষুব্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজাইনারকে আক্রমণ শুরু করেন তাঁরা। নেটিজেনদের বক্তব্য, মঙ্গলসূত্র বিক্রি করতে গিয়ে অশ্লীলতা বিক্রি করছেন সব্যসাচী।
সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে আইনি নোটিসের জেরে নতুন করে বিপাকে পড়েন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। হিন্দু সংস্কৃতি ও ভাবাবেগে আঘাত আনার অভিযোগে সব্যসাচীকে আইনি নোটিস পাঠান আইনজীবী আশুতোষ জে দুবে। আইনজীবীর দাবি, সব্যসাচীর এই বিজ্ঞাপনে মঙ্গলসূত্রের মতো পবিত্র গয়নাকে অপমান করা হয়েছে। তাই ১৫ দিনের মধ্যে এই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে ডিজাইনারকে। এরপর মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজ্ঞাপন না সরালে ফল ভাল হবে না।
এবার সেসব প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপনটি তুলে নিলেন সব্যসাচী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেও বিজ্ঞাপনটি মুছে দিয়েছেন তিনি। তার বদলে ক্ষমাপ্রার্থনা করে কয়েকটি কথা লেখা হয়েছে তাঁর টিমের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.