ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হু হু করে বাড়ছে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রের পর রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজস্থান। উত্তরপ্রদেশেরও একাধিক শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ২৩ এপ্রিল থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতিতে যেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল (Cinems Hall)। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকছে নবীনা, প্রিয়া, মেনকা, জয়ার মতো প্রেক্ষাগৃহ। ‘বসুশ্রী’ এবং ‘প্রিয়া’ সিনেমা হলও সেই পথে হাঁটবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
কিন্তু কেন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলি? শুধুই কি কোভিড ১৯ (COVID-19) ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। এক সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রিয়া সিনেমা হলের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত জানান, বড় বাজেটের ছবি এলে তবেই সিনেমা হল খোলা সম্ভব। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ছোট বাজেটের ছবিতে হল খোলা সম্ভব নয়। এবার হল বন্ধ থাকলে কর্মীদের সাহায্য করতে পারবেন না বলেই মনে করছেন অরিজিৎ দত্ত। সরকার থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি বলেই অভিযোগ।
‘জয়া’ সিনেমার মালিক মনোজিৎ বণিক জানান, কেউ ইচ্ছে করে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখতে চান না। কিন্তু দর্শকদের হলে এসে সিনেমা দেখার অভ্যাস চলে গিয়েছে। সরকার যদি বিদ্যুতের বিল কিংবা পুরসভার (KMC) করে ছাড় দিত, তাও চেষ্টা করা যেত। কিন্তু তা করা হয়নি। সমস্ত দিক আর রক্ষা করা যাচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। মেনকা সিনেমা হলের মালিক প্রণব রায়। তাঁর মতে, ‘সূর্যবংশী’, ‘থালাইভি’, ‘চেহরে’, ‘রাধে’র মতো বলিউড ছবির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এদিকে ‘গোলন্দাজ’, ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘বেলাশুরু’র মতো বাংলা সিনেমাও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না। তাই দর্শকরাও সিনেমা হলে আসার উৎসাহ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে নবীনা সিনেমা হলের মালিক জানান, সংক্রমণের হার বাড়ার কারণেই তাঁর হলটি বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবার প্রেক্ষাগৃহের দরজা সাধারণের জন্য খুলে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.