Advertisement
Advertisement
মিমি চক্রবর্তী মনামী বিশ্বাস

করোনাজয়ী মনামীর প্লাজমা দান, কুর্নিশ জানালেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী

সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্লাজমা দান করেন রাজ্যের প্রথম করোনাজয়ী মনামী বিশ্বাস।

Corona survivor Manami Biswas donates plasma, Mimi praises
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 19, 2020 4:01 pm
  • Updated:May 19, 2020 4:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার তৃতীয় করোনা আক্রান্ত মনামী বিশ্বাসের লড়াকু কাহিনির কথা ইতিমধ্যেই অনেকেই জেনেছেন। স্কটল্যান্ডে পড়ুয়া এই কন্যাই প্রথম করোনামুক্ত হয়ে উঠেছিলেন রাজ্যে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর করোনা চিকিৎসার স্বার্থে প্লাজমা দান করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন বাংলার এই তরুণী। প্রতিশ্রুতিমতো করলেনও তাই। সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে প্লাজমা দান করে এলেন হাবড়ার মনামী বিশ্বাস। আর তাঁর এই পদক্ষেপের জন্যই সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী কুর্নিশ জানালেন মনামী কে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মিমির সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন মনামী । সাংসদের উদ্যোগেই সারা বাংলার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল হাবড়ার এই স্কটল্যান্ড পড়ুয়ার করোনা যুদ্ধের কাহিনি। বাংলা অনলাইন মিডিয়া মারফৎ লড়াকু এই বঙ্গকন্যার কাহিনি জানতে পেরে যোগাযোগ করেছিলেন নিজে থেকে। কারণ মিমির মনে হয়েছিল, মনামীর আত্মবিশ্বাস, অভিজ্ঞতা এবং টিপস বাংলার মানুষকে আরও সচেতন করে তুলবে। এই অতিমারীর কারণে মানুষের মনে যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও কিছুটা দূর হবে মনামীর করোনামুক্ত হওয়ার কাহিনি শুনে। মিমি চক্রবর্তী বলেছিলেন, “মনামী বিশ্বাসের সাহসিকতা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছে।” সেই তরুণীই যখন প্লাজমা দান করলেন চিকিৎসার স্বার্থে সাংসদ অভিনেত্রী এবারও তাঁকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি।

Advertisement

সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে প্লাজমা দিয়েছেন মনামী। সেই খবর নজরে আসতেই, তাঁর সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করে মিমি লিখেছেন, “বাংলার প্রথম করোনামুক্ত ব্যক্তি প্লাজমা দিলেন। মনামী, তোমার জন্য আমি গর্বিত।”

[আরও পড়ুন: ‘প্রেমিকার মাথায় সলমনের বোতল ভাঙার গল্প শুনেই বড় হয়েছি’, ফের ভাইজানকে কটাক্ষ সোনার]

উল্লেখ্য, মনামী ভীষণই প্রতিভাবান। যিনি কলকাতা থেকে স্কটল্যান্ড গিয়েছিলেন মাস্টার্স পড়তে। হয়তো ওখানেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। ভারতে ফেরেন ১৮ মার্চ। তবে দেশে ফিরেই দায়িত্ববান নাগরিকের মতো সোজা বেলেঘাটা আইডিতে গিয়ে COVID-19 পরীক্ষা করান। হাসপাতালে ভরতি হন ১৯ মার্চ। এবং ২০ তারিখ তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু তিনি মনোবল হারাননি। বরং, সব নিয়ম মেনে চলে চিকিৎসকদের সাহায্যে করোনা সংগ্রামে জয়ী হয়ে উঠেছেন। ৩১ মার্চ তিনি করোনা যুদ্ধে জয়ী হন। ফিট সার্টিফিকেট পান। এরপরই প্লাজমা দানের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন মনামী বিশ্বাস। তবে সেরে ওঠার পরও বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হয় প্লাজমা দানের আগে। সেই পর্ব মিটতেই সোমবার প্লাজমা দান করেছেন এই সাহসিনী বঙ্গকন্যা।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে রোজগার বন্ধ, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ ‘ড্রেস দাদা’র পাশে কৃতি স্যানন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement