সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমল মালিক। বেশ জনপ্রিয় গায়ক। ঝা চকচকে জীবনযাপন। সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলে অন্তত তেমনটাই মনে হয়। কিন্তু সেলেবসুবো জীবনের চাকচিক্যের অন্তরালে একরাশ মনখারাপের ভিড়। দিনরাত মা-বাবার খোঁটা শুনে এমন পরিস্থিতি যে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অমল। সোশাল মিডিয়ায় সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
অমল মালিক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “আমি বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছি যেখানে নিজের যন্ত্রণা নিয়ে আর চুপ করে বসে থাকা যায় না। বছরের পর বছর ধরে, কিছু মানুষের আরামের জীবন তৈরি করার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছি। কিন্তু আমাকে বারবার এমন কথা শোনানো হয়েছে যে- আমি অন্য কারও তুলনায় কিস্যু নই! অকর্মা। আমার জীবনের সব স্বপ্ন ওদের জন্য ত্যাগ করেছি। বদলে সবসময়ে আমাকে আমার নিন্দে শুনতে হয়েছে। আমি কী করেছি জীবনে? সেই খোঁটাও শুনতে হয়েছে। নিজের রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে ১২৬টি গান তৈরি করেছি। তার পরও আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।”
ওই পোস্টেই জনপ্রিয় গায়কের সংযোজন, ‘বাবা-মায়ের কারণে আজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার দূরত্ব বেড়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁরা আমার থেকে সবরকম সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেছেন। কিন্তু পরিবর্তে আমার সমস্ত বন্ধুত্ব, সম্পর্কের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছেন। আমার আত্মবিশ্বাস তিল তিল করে নষ্ট করেছেন ওঁরা। তবে এত কিছু সত্ত্বেও আমি দমে না গিয়ে এগিয়ে গিয়েছি। কারণ আমি জানতাম সব প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে আমি এগিয়ে যেতে পারব। আমি আমার বিশ্বাসে অটল ছিলাম। আজ আমি মানসিকভাবে ক্লান্ত। এবং আর্থিকভাবেও বিধ্বস্ত। নিজেই অবশ্য দায়ী আমি। কিন্তু এতবার আত্মমর্যাদায় আঘাত করা হয়েছে যে পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছি।’ এদিকে অবসাদগ্রস্ত অমলের পোস্ট পড়ে নেটপাড়ায় ‘ভারতীয় প্যারেন্টিং’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাংশের কথায়, ‘এদেশের বাবা-মায়েরা বরাবরই পাড়া প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করেন। অনেকেই যার জন্য চাইল্ডহুড ট্রমায় ভোগে।’ কারও মন্তব্য, ‘দিনের পর দিন এমন খোঁটা শুনলে যে কারও আত্মবিশ্বাস টলে যায়। আপনি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ যদিও সেই পোস্ট নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠার পরই মুছে ফেলেছেন অমল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.