সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে একাদিক ধোঁয়াশা। টানা ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আসছে একের পর এক তথ্য। ফলত সংবাদমাধ্যমগুলিতেও ভাসছে ব্রেকিংয়ের পর ব্রেকিং। এক্সক্লুসিভের ঘনঘটা। কে কত আগে, কত গভীরভাবে ও নিখুঁত সংবাদ পরিবেশন করতে পারে, চলছে তারই প্রতিযোগিতা। আদতে তা স্বাস্থ্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, প্রতিযোগিতার ঠেলায় ক্রমশ বিকৃতিতে পর্যবসিত হয়েছে সংবাদ পরিবেশন। অন্তত নেটদুনিয়ার দাবি তেমনটাই। তাই শ্রীদেবীর মৃত্যুর ব্যাখ্যা করতে গিয়েই বাথটবে উঠে নেটদুনিয়ার খোরাক হলেন এক তেলুগু সাংবাদিক।
[ জটিলতার অবসান, শ্রীদেবীর মরদেহ দেশে ফেরানোর ছাড়পত্র দিল দুবাই ]
জানা যাচ্ছে, তেলুগু চ্যানেল মহা নিউজ-এ কর্মরত তিনি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে উঠে আসে হার্ট অ্যাটাকের তত্ত্ব। জানা যাচ্ছিল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই বাথরুমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই রহস্য নয়া দিকে মোড় নেয়। জানা যায়, হৃদরোগ নয়, বাথটবে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। এরপরই নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। কীভাবে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলেন, কীভাবে বাথটাবে শ্রীদেবীর উচ্চতার কেউ ডুবে যেতে পারে, তা নিয়েও ধন্ধ জাগে। এই পরিস্থিতিতেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যমগুলি। বিভিন্ন চ্যানেলে শুরু হয় তোড়জোড়। কোথাও ক্রোমায় (গ্রাফিক্সের মাধ্যমে) কাল্পনিক বাথটবের উপর ভাসিয়ে দেওয়া শ্রীদেবীর শুয়ে থাকা অবস্থার ছবি। কোথাও আবার রীতিমতো নাট্য রূপায়ণে পুরো ঘটনা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যেই তাজ্জব কাজটি করেন ওই তেলুগু সাংবাদিক। একটি বাথটবের উপর উঠে, একেবারে শুয়ে পড়ে তিনি ব্যাখ্যা করতে থাকেন কীভাবে শ্রীদেবীর মত্যু হয়েছিল। সে ভিডিওই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। শুরু হয় মশকরা।
[ চাঁদনি এসেও এল না তাঁর জীবনে… ]
এদিকে যেভাবে শ্রীদেবীর মত্যু মিডিয়ায় উঠে এসেছে তাতে অসন্তুষ্ট মিডিয়ারই একাংশ। নেটদুনিয়ায় নিন্দার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বরখা দত্তের মতো প্রথম সারির সাংবাদিক। তিনি এই ধরনের সাংবাদিকতা হীন আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন এ হল, সংবাদেরই মৃত্যু। সাংবাদিকতার এই ধরনে তিনি যে বিব্রত তা জানাতেও ভোলেননি।
Ridiculous. Ludicrous. Insidious: The way Indian Media- especially news TV has reported #sridevideath has been shameful. As a a member of the fraternity, I am embarrassed My piece in @washingtonpost on why I started the hashtag #NewsKiMaut -Death of News https://t.co/TK4npaqK8e
— barkha dutt (@BDUTT) February 27, 2018
Sridevi may have died due to Accidental Drowning, but Indian Media should drown voluntarily. Chullu bhar paani mein.
— Aaqib Raza Khan (@aaqibrk) February 26, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.