Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

‘দেশে শান্তি বিরাজ করুক’, মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণেই বাংলাদেশ নিয়ে ‘চুপ’ চঞ্চল

কী জানালেন চঞ্চল চৌধুরী?

Chanchal Chowdhury on unrest Bangladesh
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 9, 2024 12:22 pm
  • Updated:August 9, 2024 12:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা! জুতোর মালা, মুখে কালি…। বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা নিগৃহীত। সংখ্যালঘুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে উন্মত্ত জনতা মেতে উঠছে বিশ্রী উল্লাসে! বাংলাদশের (Bangladesh) বিভিন্ন প্রান্তের খণ্ডচিত্র দেখে শিউড়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। প্রশ্ন উঠছে, দেশের উন্মত্ত জনতার বিবেকবোধ নিয়ে। আদৌ কি তা জাগ্রত হবে? বন্ধ হবে এই সহিংস পথ? উদ্বিগ্ন সভ্য সমাজ। আক্রান্ত সে দেশের শিল্পীরাও। এমতাবস্থায় চঞ্চল চৌধুরীকে (Chanchal Chowdhury) নিয়ে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। ছাত্রদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু দেশের নৈরাজ্য নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু জানাননি। এবার শেষমেশ মুখ খুললেন অভিনেতা।

কেন বাংলাদেশের এহেন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে ‘চুপ’ চঞ্চল? সোশাল মিডিয়ায় সেকথা জানালেন তিনি। অভিনেতা জানিয়েছেন, “আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারনে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।” এরপরই চঞ্চল চৌধুরীর দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি পত্রিকা বা সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিয়ে যেসব কথা লেখা হচ্ছে, সেটার দায় তাঁর নয়।

Advertisement

ঠিক কী লিখেছেন চঞ্চল? লিখলেন, “আমার নাম ব্যবহার করে কোন বিদেশী, দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়,তার দায় আমার নয়। কারণ এখনও পর্যন্ত আমি কোনও পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও বিষয়ে কোনও বক্তব্য দিইনি। আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনও কিছুর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।”

[আরও পড়ুন: ‘বলতে পারছি না চিরশান্তিতে থাকুন’, বুদ্ধপ্রয়াণে বিস্ফোরক তসলিমা! লিখলেন ‘অন্য অধ্যায়ে’র কথা]

এর আগে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, “পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কয়দিন নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি, হয়েছি শোকাহত! সমাধানের অন্য কোনও পথ কি খোলা ছিলো না? গুলি কেন করতে হল?
বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাংক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! আমি খুব সাধারন একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝিনা। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি। তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝড়ে গেল,তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হল,তাঁর আর্তনাদ কি কোনও জনমে শেষ হবে?
হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!”

[আরও পড়ুন: ‘গান স্যালুটটা হতে দেবেন না’, বুদ্ধদেবপত্নীকে আর্জি অনীক দত্তর, পালটা উত্তরও পেলেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement