ছবি : ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মানেই বাঙালির কাছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া, দেদার গান-গল্প, আড্ডা আর অবশ্যই সিনেমা দেখা। সারাবছর শুটিং, সিনেমার প্রচার কাজের ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন তারকারাও (Celebrity Der Durga Puja)। আর পুজো রিলিজ হলে আলাদা কথা! পায়ের তলায় সরষে দিয়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। এবার অস্থির আবহে পুজোপ্রস্তুতিতে ভাঁটা পড়েছে বটে! আর এই কঠিন সময়ে মা দুর্গার কাছে শুধু শক্তি চাওয়ার কথা জানালেন মধুমিতা সরকার।
পুজোটা কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন অভিনেত্রী? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর তরফে প্রশ্ন যেতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন মধুমিতা। অভিনেত্রীর কথায়, “ছোটবেলায় যেভাবে পুজো কাটাতাম সেভাবেই এখনও কাটানোর চেষ্টা করি। লুকিয়ে নাগরদোলা চড়ি। কিন্তু কোথায়? সেটা ফাঁস করব না। পুজোর সময়ে ফুচকা ইজ ইমোশন। সেই স্বাদ নিতে ভুলি না। কাজের সূত্রেই প্যান্ডেল হপিং হয়ে যায়। ঠাকুর দেখতে ভালোবাসি। পুজোর সময়ে প্রতিটা বাঙালি যেগুলো করে, সেগুলো আমি এখনও করি এবং দাপিয়ে করি।”
এই উত্তাল সময়ে মা দুর্গার কাছে কী চাইবেন মধুমিতা? অভিনেত্রী বলছেন, “প্রতিবছর পুজোয় আনন্দ করি। এই বছরটা সত্যিই আলাদা। এবারও আমি শক্তির আরাধনা করব। মা দুর্গার কাছেও শুধু শক্তি চাইব। এই অস্থির পরিস্থিতিতে মা আমাদের সকলকে অনেক অনেক শক্তি দিন।”
শৈশবের পুজোর দিনগুলো কীরকম কাটত? টলিউডের মিষ্টি নায়িকা ‘চিনি’র উত্তর, “ছোটবেলায় দুর্গাপুজোর জন্য এক মাস আগে থেকে অপেক্ষা করতাম। বালিগঞ্জে আমার বাড়ি। আমাদের রান্নাঘর থেকে দুর্গাবাড়ি দেখা যায়। প্রতিবছর ওখানে পারফর্ম করতাম। ষষ্ঠী থেকে নবমী অনুষ্ঠান থাকত। নাচ, গান, নাটক সবকিছুর সঙ্গেই যুক্ত থাকতাম। প্যান্ডেলের প্রথম বাঁশটা যখন পড়ত, তখন পাগলের মতো ছুটতাম। কারণ প্যান্ডেলের কাঠামো পড়া মানেই আমাদের রিহার্সাল শুরু হওয়া। সেই হুল্লোড় দশমী গড়িয়ে কালীপুজো অবধি চলত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.