সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে সোমবারই বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মৃতের পরিবারকে সান্তনা দিয়ে কোলে তুলে নিয়েছেন তাঁর ছোট্ট সন্তানকে। পিছিয়ে থাকেননি তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। দলের সুপ্রিমোকে অনুসরণ করে দুর্গতদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তিনিও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর ও সোনারপুর পৌরসভার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। শনিবার সারা রাত কন্ট্রোলরুমে বসে রাজ্যের পরিস্থিতি এবং যাবতীয় তথ্যের উপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার আকাশপথে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুলবুলে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণাও করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত মৎসজীবী সঞ্জয় দাসের পরিবারের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। দলের সুপ্রিমোকে অনুসরণ করে অসহায় পরিবারগুলির পাশে থাকতে তাঁদের মাঝে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। রবিবার সন্ধেবেলা রাজপুর ও সোনারপুর পৌরসভা এলাকায় গিয়ে নিজে হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ। ক্যামেরাবন্দি সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আরজিও জানিয়েছন তিনি।
ভিডিও শেয়ার করে মিমি লেখেন, “ধন্যবাদ ঈশ্বরকে, যে সেভাবে আমার লোকসভা অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাও বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আজ আমি গিয়েছিলাম সাহায্য ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং আমাদের কর্মী ও নেতৃত্ববৃন্দকে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।”
শনিবার বিকেল থেকেই রাজ্যে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল বুলবুল। নির্ধারিত সময়ের আগেই আছড়ে পড়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। শুক্রবার রাত থেকেই যদিও দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রবল বৃষ্টিপাত। তবে শনিবার বেলা গড়াতেই শুরু হল বুলবুলের তাণ্ডব। ঝোড়ো হওয়া, প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু অংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েইছে, তবে বুলবুলের কোপে পড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, ঝড়খালি, হেনরিজ আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায়।
দেখুন সেই ভিডিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.