সন্দীপ্তা ভঞ্জ: একদিকে যখন ‘কে তুমি নন্দিনী’ মুক্তির অপেক্ষায়, বনি ব্যস্ত বাবার ছবির সেটে। বনি ওরফে বনি সেনগুপ্ত। ফ্যানদের কাছে তিনি টলিউডের চকোলেট বয়-ও বটে! বাবা অনুপ সেনগুপ্ত, পরিচালক। যিনি সদ্য নতুন ছবির কাজে হাত দিয়েছেন। কিন্তু বাবার ছবির সেটে বনি কী করছেন? বাবাকে অ্যাসিস্ট? না! আসলে বাবা অনুপ সেনগুপ্তর নতুন ছবির নায়ক হয়েছেন বনি। ছবির নাম ‘জানবাজ’। এই প্রথমবার বাবার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। চমক তো বটেই! পরিচালক ও অভিনেতা হিসেবে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে বাবা-ছেলে জুটির উদাহরণও এর আগে সেরকম একটা দেখা যায়নি। এই ছবিতে রয়েছে আরও একটা চমক। সেটা কীরকম? খোলসা করলেন বনি নিজেই। বাবা-ছেলের জুটিতে কেমন গপ্পো ফেঁদেছেন, সেই গল্পই শোনালেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।
ছবির শুটিং তো শুরু হয়ে গিয়েছে…
বনি: হ্যাঁ। প্রথমবার বাবার সঙ্গে কাজ করছি, এক্সাইটেড তো বটেই!
বাবার ছবিতে অভিনয়ের করার সুযোগ এল কীভাবে?
বনি: বাবা যখন পরিচালক আর ছেলে যখন অভিনেতা, তখন একসঙ্গে কাজ করার একটা প্ল্যান যে থাকবেই, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে আছে বাবা বলেছিলেন, “তোকে আমি লঞ্চ করব না। তোর যেদিন নাম হবে, সেদিন তোকে নিয়ে সিনেমা করব। নাহলে সবাই বলবে, বাবা ছিল বলে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।” তারপর ফাইনালি বাবার ছবিতে অভিনয়ের করার সুযোগ এল।
পরিচালকের আসনে যখন বাবা, তখন এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কী একটু অন্যরকম?
বনি: বাবা কিন্তু সেটে সব্বাইকে ‘আপনি-আজ্ঞে’ করে ডাকে। অনেকেই হয়তো তা জানেন না। শট রেডি হলে ডাক আসে, “বনিবাবু শট রেডি।” বেশ লজ্জা লাগে তখন। তবে, আমি সেটে কখন কী খাই না খাই সেদিকে বাবার কড়া নজর। তখন উনি ‘বাবা’। অগত্যা লাঞ্চে চিকেন স্টু আর ব্রাউন ব্রেড খেতে হয়!
আর বাবাকে ‘পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত’ হিসেবে বর্ণনা করবেন কীভাবে?
বনি: ডিরেক্টর হিসেবে উনি খুব গোছানো। কোনওরকম অতিরিক্ত শট নেন না। উনি জানেন ঠিক কতটা দরকার নির্দিষ্ট ওই দৃশ্যের জন্য। তাই সেরকম চাপও থাকে না। আর খুব সহজে এবং বেশ ভালভাবেই কাজটা চলছে।
আপনার চরিত্রের নাম?
বনি: আমার চরিত্রের নাম বিক্রম। বলতে গেলে, একজন গ্যাংস্টারের ডান হাত আমি। সেই গ্যাংস্টারের চরিত্রে রয়েছেন সুদীপদা (মুখোপাধ্যায়)। বিক্রম খুব রাফ একটা ক্যারেক্টার। সে কয়লার খনিতে কাজ করে। কিন্তু মনের দিক থেকে সে খুব ভাল। কয়লার খনি, গুন্ডামি… আর এভাবেই একদিন একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় বিক্রম।
প্রেম বলতেই মনে পড়ল, এ ছবিতে তো কৌশানি মুখোপাধ্যায়ও রয়েছে…
বনি: হ্যাঁ। ছবিতে আমার লাভ ইন্টারেস্ট সে।
ছবিতে প্রেমটা হল কী করে?
বনি: গ্যাংস্টারের আন্ডারে কাজ করতে করতে হঠাৎ একদিন এক ঝামেলায় ফেঁসে গিয়ে লুক চেঞ্জ করে বিক্রম পালিয়ে যায় কলকাতায়। সেখানেই এক কোম্পানিতে কাজ করা শুরু করে। যেটা কিনা কৌশানির বাবার কোম্পানি। আমার কাজের দক্ষতা দেখে সেও প্রেমে পড়ে যায়। পরে, জানতে পারি সে একজন আইএসপি।
তো ক্রিমিনালের সঙ্গে আইএসপির প্রেমটা গড়াল তো শেষ অবধি?
বনি: প্রথমত, সেই আইএসপি কৌশানির ওপরই দায়িত্ব থাকে আমাকে খুঁজে বের করার। দ্বিতীয়ত, খুব ন্যাকা ন্যাকা গোছের রোম্যান্স আমাদের মধ্যে থাকে না এই ছবিতে।
আর বনি-কৌশানি কেমিস্ট্রি?
বনি: অফ স্ক্রিন-অন স্ক্রিন দুটোই হিট! যেহেতু কৌশানি আমার রিল লাইফ এবং রিয়েল লাইফ পার্টনার, তাই আমাদের মধ্যেকার আন্ডারস্ট্যান্ডিংটাও বেশ ভাল। তাই আমার পক্ষে ওর সঙ্গে কাজ করাটা খুব সহজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.