সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নকল হইতে সাবধান! হ্যাঁ, অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠের ক্ষেত্রে ঠিক যেন এমনটাই জানিয়ে দিল আদালত। অরিজিতের করা এই পিটিশনের জবাবে বম্বে হাই কোর্ট নির্দেশ দিল AI-এ তৈরি করা যাবে না অরিজিতের কণ্ঠ! না হলে ভুগতে হবে কড়া শাস্তি।
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। ২৬ জুলাই ছিল অরিজিতের করা এই পিটিশনের শুনানি। আর সেই শুনানিতেই বিচারপতি রিয়াজ চাগলা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক স্বার্থে একজন সেলেব্রিটির ব্যক্তিত্বকে এবং প্রতিভাকে নষ্ট করা যায় না। ‘বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমালোচনা এবং মন্তব্যের অনুমতি দেয় কিন্তু বাণিজ্যিক লাভের জন্য একজন সেলিব্রিটির ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগানোর লাইসেন্স দেয় না। AI টেকনোলজি ব্যবহার করে অরিজিতের কণ্ঠ-সহ কোনও কিছুই কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপন-সহ কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে না।
অরিজিত সিংয়ের অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে একাধিক AI ক্রিয়েটর তাঁর কণ্ঠ এবং গান গাওয়ার ধরনকে ব্যবহার করেছে। এসব বন্ধ করতেই আদালতে যাওয়া।
জনপ্রিয় গায়ক তিনি। কিন্তু অরিজিৎ সিংয়ের আদব কায়দা দেখলে তা বুঝতে পারা খুব কঠিন। মুম্বইয়ের ঝাঁ চকচকে বাড়ি ছেড়ে, সেলেব-সুলভ লাইফস্টাইল ছেড়ে, মুশির্দাবাদের জিয়াগঞ্জে স্কুটিতে চড়েই এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান অরিজিৎ। পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেন ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে। অরিজিতের এমন স্বভাবই তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
রিয়্যালিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’-এ অংশ নিয়েছিলেন অরিজিৎ। তবে সেই শোয়ে সেরা হতে পারেননি তিনি। সেই ঘটনার পর গোপনে নিজেকে তৈরি করছিলেন। তারপর রীতিমতো ধামাকা হয়ে আসলেন অরিজিৎ।
২০১১ সালে ‘মার্ডার ২’ সিনেমার ‘ফির মহব্বতে’ গান দিয়ে। এরপর একে একে সাংহাই-এর ‘দুয়া’। তবে ২০১৩ সালে আশিকি ২ -এর ‘তুম হি হো’ এবং ‘চাহু ম্যায় না’ গান গেয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন অরিজিৎ। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অরিজিতের গান মানেই সুপারহিট। যার ঝুলিতে এত পুরস্কার। ফ্যানদের ভালোবাসা, তিনি কিন্তু একেবারেই সাদাসিধে। বরং ফতুয়া পরে জিয়াগঞ্জের রাস্তায় স্কুটি চড়তেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.