সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ মামলায় বিপাকে সোনু সুদ (Sonu Sood)। বৃহণ্মুম্বই পুরনিগমের নোটিসের বিরুদ্ধে যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তা খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি পৃথ্বীরাজ কে চৌহান (Prithviraj Chavan) জানিয়ে দেন, এবিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র BMC’র।
করোনা কালে (CoronaVirus) সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আমজনতার ‘মসিহা’, রবিনহুডের মতো খেতাব পেয়েছেন সোনু সুদ। তাঁর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। BMC’র দাবি ছিল, জুহুতে নিজের ৬ তলার শক্তি সাগর আবাসনকে অনুমতি ছাড়াই হোটেলে পরিণত করে ফেলেছেন সোনু। BMC’র নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। এদিন সোনুর আইনজীবী, অমোঘ সিং আদালতে জানান, বিএমসির নির্দেশ মানার জন্য তাঁদের অন্তত ১০ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এর জবাবেই বিচারপতি চৌহান বলেন, “আপনারা অনেক দেরি করে ফেলেছেন। একাধিকবার সুযোগ পেয়েছিলেন। আইন তাঁদেরই পাশে যাঁরা তা মেনে চলেন।”
এদিন বৃহণ্মুম্বই পুরনিগমের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন আইনজীবী অনিল সাখড়ে। এজলাসে তিনি অভিযোগ করেন, সোনু সুদ আদালতের থেকে অনেক সত্য গোপন করেছেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর প্রথমবার সোনুর বাড়ির বেআইনিভাবে তৈরি করা অংশ ভেঙে দিয়েছিল BMC। ২০২০ সালে ১৪ নভেম্বর আবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ করতে হয়। এরপরই বিচারপতি চৌহান সোনু সুদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, বেআইনি নির্মাণের অংশ BMC ভাঙার পর আবারও কি সোনু সুদ তা নতুন করে তৈরি করেছিলেন? সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সাখড়ে অভিযোগ করেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছিল বিএমসি। তারপরই জানা যায়, সোনু আবার অবৈধভাবে নিজের বাড়ির নির্মাণকাজ করিয়েছেন। যদিও সোনুর আইনজীবীর দাবি, অভিনেতা ২০১৮ সালে বাণিজ্যিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন এবং তা এখনও বৃহণ্মুম্বই পুরনিগম মঞ্জুর করেনি। BMC’র দাবি, সোনুর বিল্ডিংটি মুম্বইয়ের সৈকত এলাকায়। তাই মহারাষ্ট্রের কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (MCZMA) অনুমতি প্রয়োজন। তাতে সোনুর আইনজীবী জানান, করোনার জেরে লকডাউন হওয়ায় মার্চ মাস থেকে MCZMA অফিসে কোনও কাজ হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.