সন্দীপ্তা ভঞ্জ: সাংবাদিকতা, লেখালেখির পর আদ্যোপান্ত ছবি পরিচালনায় মন দিয়েছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। ‘কেকওয়াক’, ‘সিজনস গ্রিটিংস’, ‘ব্রোকেন ফ্রেম’-এর মতো হিন্দি শর্ট ফিল্মের পর এবার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাংলা ছবি তৈরি করতে চলেছেন পরিচালক রামকমল। এই প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। সম্পর্কের গল্পের বাইরে গিয়ে এবার তাঁর বিষয় ভাবনায় ফুটে উটবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। অষ্টাদশ শতকের নাট্য জগতের দিশারি নটী বিনোদিনীর জীবনকাহিনি অবলম্বনে তৈরি হবে রামকমলের ছবি।
ছবির নাম ‘বিনোদিনী দাসী: একটি নটির উপাখ্যান’। ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার মুক্তি পেল সেই ছবির ফার্স্টলুক। প্রথম পোস্টার মুক্তির জন্য অবশ্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক। কারণ, ঠিক এই দিনেই ১৮৮৪ সালে নাট্যজগতের এই ডাকসাইটে অভিনেত্রী অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। পরমহংস শ্রী রামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে এসে বদলে গিয়েছিল নটী বিনোদিনীর জীবনভাবনা। আর তাই ১৮৮৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নাট্যজগৎকে বিদায় জানিয়ে এক অন্য পথের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। জোরকদমে চলছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ। শুটিং শুরু হবে আগামী বছর। লোকেশন মূলত কলকাতা।
এক আশ্চর্য প্রতিভার নাম নটী বিনোদিনী। সে যুগের সমাজ-পরিবার, এমনকী দেশের শাসককুলও আলাদাভাবে নারীদের কোনও অস্তিত্ব স্বীকার করত না। কিন্তু সে সময়ে দাঁড়িয়েই নিজের অভিনয়গুণের জোরে বিনোদিনী নিজেকে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মাথা উঁচু করে নিজেকে একটা মাইলফলকের মতো প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, শুধু অভিনয় জগতে নয় সংস্কৃতমনস্ক অভিজাত লোকেদের সভাতেও। যেখানে আলোচিত হত বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেসব আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন এই অসামান্যা প্রতিভাময়ী সুন্দরী নারী। যদিও তাঁর প্রথাগত শিক্ষা ছিল সামান্যই। অ্যাসোর্টেড মোশন পিকচারস নিবেদিত ‘বিনোদিনী দাসী: একটি নটির উপাখ্যান’ প্রযোজনা করছেন অরিত্র দাস। প্রথমবার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির কথা ঘোষণা করে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.