সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় শুক্রবার যোধপুর নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সলমন খানের। কিন্তু তিনি আজ আদালতে হাজিরা দেননি। এর ফলে পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। যোধপুরের ওই আদালত শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছে ১৯ ডিসেম্বর।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা হয় সলমন খানের। কিন্তু সাজা ঘোষণার পর থেকে একবারের জন্যও আদালতে হাজির হননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে যোধপুরের ওই আদালত জানায়, অবিলম্বে সলমনকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। দিন নির্ধারিত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি চলাকালীন সলমনের আইনজীবীকে কড়া নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু শুক্রবার সকালে জানা গেল, আদালতে হাজির হননি সলমন। সলমনের এই গরহাজিরা তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ তেমন কিছু হয়নি। ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্য থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। গত বছর যোধপুর দায়রা আদালত ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর জামিন মঞ্জুর করে। তার উপর ভিত্তি করে জেলের বাইরে আসেন তিনি। তারপর থেকে জামিনেই তিনি জেলের বাইরে রয়েছেন।
1998 Blackbuck poaching case: Jodhpur District and Sessions Court fixes 19th December as the next date of hearing in the case; Salman Khan did not appear before the court today. pic.twitter.com/s2pirQZOuo
— ANI (@ANI) September 27, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.