সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঢাই কিলো কা হাত’-এর অধিকারী সানি দেওল সিনেমার পর্দায় ‘বর্ডার’ থেকে ‘এলওসি’, ‘গদর’ ভিন্ন ছবিতে ভিন্নভাবে অজস্রবার পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছেন ফিল্মি সংলাপে। কিন্তু বাস্তব জীবনে ভারত-পাক সম্পর্ক বা পাকিস্তানকে নিয়ে কতটা ধারণা রয়েছে তাঁর? কতটাই বা ওদেশের প্রতি মারমুখী তিনি? বাস্তবে কিন্তু অভিনেতা মোটেই এমনটা নন! তবে, এটা ভাবার কারণ নেই যে তিনি পাকিস্তান সম্পর্কে উদারনৈতিক মনোভাবনা পোষণ করেন। তাঁর এসম্পর্কে সেরকম ধারণাই নেই। সম্প্রতি, সবাইকে অবাক করে দিয়ে সানি জানান, তিনি আদতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা সম্পর্কে কিছু জানেনই না। অতএব, তাঁর পরিষ্কার কোনও ধারণা নেই ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে। সম্প্রতি, রাজনীতির ময়দানে নাম লিখিয়েছেন। স্বভাবতই, সানির এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: মেট গালার লুকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার প্রিয়াঙ্কা, রূপকথার রাজকন্যা বেশে দীপিকা]
গত মাসেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। পাঞ্জাবের গুরদাসপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোট লড়ছেন তিনি। সানির জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের থেকে তিনটি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার আশাতেই তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে গুরদাসপুর কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অকপটে বলে ফেলেন, “আমি বালাকোট ইস্যু কিংবা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা জানি না। আমি মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। নির্বাচনে আমি জিতলে তারপর না-হয় এসব নিয়ে মতপ্রকাশ করব। আপাতত, এসব নিয়ে আমার কোনও মত নেই।”
এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সব বিজেপি নেতারা যে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ইস্যুকে সামনে রেখে ভোট প্রার্থনা করেছেন, তা নিয়ে নাকি বিশেষ কিছুই জানেন না পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে বিজেপির তারকাপ্রার্থী সানি দেওল।
[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ওড়িশার ত্রাণ তহবিলে কোটি টাকা সাহায্য অক্ষয়ের].
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সানি নিজে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছরে প্রচুর কাজ করেছেন। আমি চাই উনি আরও পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকুন। আমার বাবা অটলবিহারী বাজপেয়ীর পাশে ছিলেন। আমিও সেভাবেই মোদিজির পাশে থাকতে চাই। আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলবে।” উল্লেখ্য, সানি দেওলের বাবা ধর্মেন্দ্র ২০০৪ সালে রাজস্থানের বিকানের থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী হেমা মালিনী এখনও মথুরা কেন্দ্রের সাংসদ এবং এবছরও একই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এরই মধ্যে ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে সানি দেওল গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তবে, পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও সানির ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য যে প্রতিপক্ষ শিবিরগুলির খোরাক-ই হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.