ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “মুম্বইতে গিয়ে নাচুন। JNU-তে গেলেন কেন?”, “আপনি তো টুকরে টুকরে গ্যাং-কে সমর্থন করেন। আপনার রাজনৈতিক অবস্থান কী?” বর্তমানে দীপিকার দিকে ধেয়ে আসছে বিজেপি নেতানেত্রীদের এমনই মন্তব্য। অভিনেত্রীর JNU যাওয়া নিয়ে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গভ।
দীপিকার জেএনইউ যাত্রা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ‘ছপাক’ বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তার মাঝেই শুক্রবার মুক্তি পেল দীপিকার ছবি। হাজারো বিতর্কের মধ্যেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। যিনি নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে করমুক্ত করে দিয়েছেন ‘ছপাক’কে। পুদুচেরি এবং ছত্তিশগড়েও করমুক্ত হয়েছে এই ছবি। বৃহস্পতিবার দীপিকার হয়ে সুর চড়িয়েছেন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারও। এত কিছুর মাঝেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রশ্ন তুললেন দীপিকা পাড়ুকোনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গভও কদর্য মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রীকে নিয়ে।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গভের মন্তব্য, “হিরোইনদের মুম্বইতে নাচ করা উচিত। কেন তিনি JNU-তে যাবেন? তাঁর মতো আরও অনেকেই আছেন। যদি তাঁরা রাজনীতিতে উৎসাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়ুন।” অন্যদিকে, স্মৃতি ইরানি যিনি নিজেও কিনা রাজানীতির ময়দানে নামার আগে অভিনেত্রী ছিলেন, তিনিও দীপিকাকে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনি সেসমস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন যারা দেশের জওয়ানদের মৃত্যু উদযাপন করেন। ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে আওড়ান’ লোকদের পাশে দাঁড়ানো দীপিকার ব্যক্তিগত বিষয়। উনি তো ২০১১-তেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। রাহুল গান্ধিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে।”
তবে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কটাক্ষের শিকার হলেও দীপিকার পাশে দাঁড়াতে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবার ‘ছপাক’-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছেন। সমাজবাদী পার্টির এক বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্য, আমাদের মুখ্য অখিলেশ যাদব আগাগোড়াই অ্যাসিড অ্যাটাক আক্রান্তদের নিয়ে স্পর্শকাতর, তাই আমরা সবাই ছবিটা দেখছি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.