Advertisement
Advertisement
কৌশিক সেন

‘কে ওকে মেরে হাত নোংরা করবে’, কৌশিক সেনকে কটাক্ষ সায়ন্তনের

অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি প্রসঙ্গেই হুমকি পান কৌশিক সেন।

BJP leader Sayantan Basu lashes out at Kaushik Sen
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 27, 2019 5:27 pm
  • Updated:July 27, 2019 8:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বিদ্বজ্জনদের চিঠি নিয়ে এখন উত্তাল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গের পালেও লেগেছে হাওয়া। কারণ এখানকার অনেক বুদ্ধিজীবীও স্বাক্ষর করেছেন সেই চিঠিতে। এই নিয়ে কৌশিক সেন ইতিমধ্যেই খুনের হুমকিও পেয়েছেন। আর অসহিষ্ণুতা বিরোধী সেই চিঠি ছাপিয়ে এখন হুমকিটাই ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷ বলেছেন, ‘‘কৌশিক সেনকে মেরে কেউ হাত ময়লা করতে চায় না।’’

[ আরও পড়ুন: পুলিশ-স্থানীয়দের কামড়, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির কাণ্ডে আতঙ্ক বালিতে ]

Advertisement

কিছুদিন আগে অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন বিশিষ্টজনেরা। তাতে যেমন ছিল গণপিটুনির মতো ইস্যু, তেমনই ছিল জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর মতো ঘটনাও। চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পর খুনের হুমকি পান নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন। তাঁকে ফোনে বলা হয়, “হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেখতে পাও না? বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে দেব।” এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘কৌশিক সেন নিজের দর বাড়ানোর জন্য এসব করছেন। নাটকের লোক তো, তাই নাটকের পথই বেছে নিয়েছেন তিনি। কৌশিক সেনকে কে মারতে যাবে? এসব লোকজনদের মেরে কে নিজের হাত ময়লা করবে?” 

বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে সরব হয়েছেন বিশিষ্টদের একাংশ। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এসব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে তিনি মাথা ঘামাতে চান না। অনেকে তো অনেক কথাই বলে। সব ব্যাপারে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি। প্রায় একই অভিমত ঋদ্ধি সেনেরও। তাঁর মতে, শুধু প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা নয়। বাংলার রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কয়েকটা প্রশ্ন দেখে যদি কেউ এরকম করতে থাকেন, তাহলে তাতে তাঁদের ভীতি প্রকাশ পায়।

[ আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, তুফানগঞ্জের ঘটনায় নাম জড়াল বিজেপির ]

বুদ্ধিজীবীদের দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “যারা ‘জয় শ্রীরাম’ বলা নিয়ে নালিশ জানাতে গিয়েছে তাঁরা ৫০০ টাকার কেনা গোলাম। এই বুদ্ধিজীবীরা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়, মদের বোতলের বিনিময়ে বিক্রি হয়। তৃণমূল এদের কিনে নিয়েছে। এদের ভাড়া পাওয়া যায়, তাই এদের কথা শোনার কোনও দরকার নেই।” বিজেপি নেতার অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হলে বা খুন হলে এই বুদ্ধিজীবীরা মুখ খোলেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেই মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “জয় শ্রীরাম বলার জন্য যখন বিজেপির নেতাকর্মীরা খুন হন তখন এদের দেখা যায় না।” তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিতে যখন আমাদের কর্মী খুন হল তখন তো কই এরা প্রতিবাদ করলেন না!

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement