সুপর্ণা মজুমদার: টলিউডের ব্যস্ত নায়ক তিনি। এখন ইউরোপে। কলকাতায় ফিরবেন সপ্তমীর দিন। তারপরও তুমুল ব্যস্ততা। তবে একদিন অঙ্কুশ হাজরার (Ankush Hazra) জীবনে পুজো মানেই ছিল পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখা, রাস্তার পাশের রেস্তরাঁয় খাবার খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। আর পুজোর প্রেম? খুব লাজুক ছিলেন বলেই তা করা হয়ে ওঠেনি বলেই জানালেন তারকা।
ইউরোপ থেকেই ফোনে নিজের পুজো পরিকল্পনা জানালেন অঙ্কুশ। সপ্তমীর দিন ফিরেই তিনি এবং ঐন্দ্রিলা যাবেন শ্রীভূমির মণ্ডপে। এবার শ্রীভূমির থিম সংয়ের সঙ্গে যুক্ত দুই তারকা। তাছাড়াও কিছু কমিটমেন্ট রয়েছে। তার বাইরে যেটুকু সময় পাবেন পরিবার, ঐন্দ্রিলা এবং বন্ধুদের সঙ্গেই কাটাবেন অঙ্কুশ।
পুজোর কোন বিষয়গুলি মিস করেন?
প্রশ্নের উত্তরে অতীতের স্মৃতিতে ফিরে যান অঙ্কুশ। জানান, বর্ধমানে থাকাকালীন বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে যেতেন। পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখার নেশা ছিল তারকার। কলকাতাতেও ঠাকুর দেখতে আসতেন। এখন কোনও পুজোয় (Durga Puja 2022) যেতে গেলে সেখানকার কর্মকর্তাদের আগে থেকে বলে রাখতে হয়। যেখানে খুশি আর যাওয়া হয় না। তাই অতীতের পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখা খুবই মিস করেন তারকা।
আগে খিদে পেলে রাস্তার পাশের কোনও রেস্তরাঁ বা খাবারের দোকানে ঢুকে দিব্যি কুলচা, বাটার চিকেন খাওয়া যেত। কিন্তু এখন সারা বছরে যে রেস্তরাঁয় যাওয়া হয় সেখানকার ভরসাতেই থাকতে হয় অঙ্কুশকে। রাস্তায় বেরিয়ে যেখানে সেখানে যা-খুশি খাওয়ার সুযোগ তেমন নেই। মায়ের হাতের রান্না খেতে ভালবাসেন অঙ্কুশ। কিন্তু সারা বছর ডায়েটের জন্য অনেক প্রিয় পদ খাওয়া সম্ভব হয় না। সেই খাবার খাওয়ার সুযোগ অবশ্য পুজোয় পান অঙ্কুশ।
আর উপহার? অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা দু’জনেই আগে পরিবারের জন্য উপহার কেনেন। নিজেদের তো সারা বছরই কিছু না কিছু দিতে থাকেন। এরপরও পুজোয় যদি একে অন্যের জন্য কিছু কেনেন তাহলে ভারতীয় পোশাকই কেনার চেষ্টা করেন বলে জানান অভিনেতা। পুজো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজে ফিরবেন অঙ্কুশ। কিছুদিন আগেই নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন। অঙ্কুশ হাজরা মোশান পিকচার্সের নিবেদনায় আসছে অভিনেতার নতুন ‘মির্জা’। ইতিমধ্যেই তার টিজার প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা দেখে অভিনেতা-প্রযোজকের নতুন ছবিকে দক্ষিণী ব্লকবাস্টার ‘কেজিএফ’-এর (KGF) সঙ্গে তুলনা করলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.