সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমার যদি অর্থের জোর এবং ক্ষমতা থাকে, তাহলে আমি আমার সন্তানদের সুযোগ দেব না? ওরা তো আমারই রক্ত! হ্যাঁ, তবে ওদেরও প্রতিভা থাকতে হবে। যাতে বার বার হাতে সুযোগ আসে। আমি ইনসাইডার-আউটসাইডার মানি না। প্রতিভা থাকলে সুযোগ হবেই”, নেপোটিজম নিয়ে সোজাসাপটা অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)।
যিশু বর্তমানে টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতা। বাংলা ছবির পাশাপাশি চুটিয়ে হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করছেন। ৩টি দক্ষিণী ছবিও করে ফেলেছেন। প্রথম সারির বলিউড ছবি ‘মরদানি, ‘মণিকর্নিকা’, ‘বরফি’, ‘পিকু’তেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে যিশুকে দেখা গিয়েছে। ওদিকে ‘শকুন্তলা দেবী’র মুক্তিও আসন্ন। যেখানে বিদ্যা বালান অর্থাৎ শকুন্তলা দেবীর স্বামী পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর যে অভিনেতা টলিউড এবং বলিউড, এই ২ ইন্ডাস্ট্রিতেই সমান পারদর্শীতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন, স্বজনপোষণ সম্পর্কে তাঁর অভিমত কী? সে সম্পর্কে একটা কৌতূহল থেকেই যায়। সম্প্রতি, এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম (Nepotism) বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরই বলিউডে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্বজনপোষণ বিতর্ক। তার আঁচ টলিউডেও এসে পৌঁছেছে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও স্বজনপোষণ তরজা নিয়ে সম্প্রতি সরগরম হয়ে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। এবার সেই প্রসঙ্গেই কথা বললেন যিশু সেনগুপ্ত। অভিনেতার মন্তব্য, “আপনিই বলুন না, আলিয়া ভাট খারাপ অভিনেত্রী? রণবীর কপূর কিংবা হৃতিক রোশনকে কেউ খারাপ অভিনেতা বলবে? টাইগার শ্রফের অ্যাকশন ফিল্ম দেখতে তো আমার দারুণ লাগে! নেপোটিজম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা চলছে, আমি বিশ্বাস করি না। যাঁদের প্রতিভা আছে, তারা কাজ পাবেই। প্রতিভার অভাব ঘটলে ছিটকে যাবেন। এটা এতটাই সহজ সমীকরণ।”
পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, “নেপোটিজম তো সব জায়গাতেই রয়েছে। শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি কেন, অন্য যে কোনও ক্ষেত্রেই স্বজনপোষণ বিষয়টি থাকে। এখানে অন্তত আমরা জানতে পারি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তো বরং অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। এখানে সবাই সবার সম্পর্কে জানেন, সবার সম্পর্কেই কথা চলতে থাকে। অন্য ইন্ডাস্ট্রির কোনও কথা তো বাইরেই আসে না। সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ!”
প্রসঙ্গত যে কঙ্গনা রানাউত বলিউডে নেপোটিজম বিষয়টির উত্থাপন করেছেন, তাঁর সঙ্গে যিশু অভিনয় করেছিলেন ‘মণিকর্নিকা’তে, অপরদিকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ভাট ক্যাম্পের ‘সড়ক ২’ ছবিতে আলিয়ার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে কঙ্গনার সঙ্গে কিন্তু যিশুর মতের অমিল রয়েছে। তাঁর কথায়, “ঋতুপর্ণ ঘোষ চলে যাওয়ার পর যিশুর জীবনে পথপ্রদর্শকের জায়গাটা যেন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গাটা পূরণ করেছেন মহেশ ভাট। সবসময় তিনি পাশে পান মহেশ ভাটকে।” নেপোটিজম নিয়ে তরজা যতই চলুক যিশু কিন্তু আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুরকেই ভোট দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.