সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: NRC, CAA, NPR-এর বিরোধিতায় শুক্রবার ছাত্র আন্দোলনের পর ফের কলকাতার রাজপথে নামলেন বাংলার বিশিষ্টরা। নাট্যকর্মীরা এই পদযাত্রার নাম দিয়েছেন ‘ফ্যাসিবাদদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের মিছিল’। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদী এই মিছিলে পা মেলাতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি মিশ্র, অনীক দত্ত, চন্দন সেন, সৌরভ দাস, সায়নী ঘোষের ব্যস্তিত্বরা।
পদযাত্রার পুরভাগেই জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গেল প্রতিবাদী মিছিলের ফেস্টুন হাতে এগিয়ে যেতে। সৌরভকে দেখা গেল জাতীয় পতাকা হাতে হাঁটতে। শনিবার বিশিষ্টদের এই মিছিল শুরু হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে। এরপর টালিগঞ্জ ফাঁড়ি হয়ে পায়ে পায়ে এই প্রতিবাদী মিছিল পৌঁছল মেনকা সিনেমাহলের সামনে।
মিছিলে হাঁটাকালীনই NRC, CAA, NPR-এর প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি মিশ্র, অনীক দত্ত, চন্দন সেনের মতো ব্যক্তিত্বরা। “অগণতন্ত্র চলছে। যা চলছে তা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলছে। যা চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ হোক। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই মিছিল খুব দরকার। NRC, CAA, NPR নয়”, মন্তব্য সংগীতকার দেবজ্যোতি মিশ্রের। মিছিলে গানের তালে তালে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিরোধীতার সুর তুলেছেন বাংলার বিশিষ্ট সংগীতকার দেবজ্যোতি।
“জনগণ তো ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করেন। কিন্তু সেই সরকারই যখন এমন কিছু আইন প্রণয়ণে মেতে ওঠেন, যা জনগণের জন্য ভাল নয়। সবাই একসুরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে”, মত অনির্বাণ ভট্টাচার্যের।
অনীক দত্ত ফের গর্জে ওঠেন সরকারি বিরুদ্ধে। মিছিলেও ছাত্রসমাজের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর শোনা যায় পরিচালকের গলায়। তাঁর কথায়, “ওরা বুঝতে পেরেছে যে জেএনইউ ছাত্রদের মেধা আছে, বুদ্ধি আছে তা বুঝতে পেরেই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।” অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের মন্তব্য, “একটা অসাংবিধানিক আইনি। কাগজ দেখান। কেন দেখাব? আমি এই পদ্ধতির প্রতিবাদ করছি।”
অন্যদিকে, শনিবারই পাশকুঁড়ায় অভিনন্দনযাত্রায় গিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফের কটাক্ষ করেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের। তিনি বলেন, “রাজ্যে এত বুদ্ধিজীবী হয়ে গিয়েছে যে ন্যায়নীতির জ্ঞান দিয়ে দিয়ে কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। আজকাল তো রাস্তায় নামিয়ে নামিয়ে বুদ্ধিজীবী তৈরি করা হচ্ছে।” দিলীপের এই মন্তব্যের পালটা দিলেন অভিনেতা চন্দন সেন। অসুস্থতা নিয়েও মিছিলেও হাঁটলেন। দিলীপকে একহাত নিয়ে চন্দনের মন্তব্য, “দিলীপবাবু প্রতিদিন এমন কথা বলছেন যা নিয়ে আমরা রীতিমতো হাসাহাসি করছি। রাজনীতি করতে গিয়ে এমন কিছু বেঁফাস কথা বলে ফেলছেন, যা হাসির খোরাক হচ্ছে। ”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.