সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর বাংলা সিনেমায় বরখা বিস্ত (Barkha Bisht Sengupta)। দেবের হাত ধরে ‘খাদান’-এ (Khadaan) তিনি সুপারহিট! সম্প্রতি পাটায়ায় ‘চর্চিত প্রেমিকে’র সঙ্গে একফ্রেমে বরখাকে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে মুভ অন করে গিয়েছেন। আদৌ কি তাই? নাকি ছাইচাপা আগুনের মতো এখনও তাঁর মনে রয়ে গিয়েছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত? সম্প্রতি সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন বরখা বিস্ত। সেখানেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিয়েটা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ইন্দ্রনীল ডিভোর্স চেয়েছিলেন।
চার বছর সেপারেশনে থাকার পর বরখা-ইন্দ্রনীলের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা শুরু হয়। কেন নিরুপায় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা? ঠিক কী বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে? বরখার কথায়, “চার বছর সেপারেশনের পর্বটা আমার জন্য খুব কষ্টের ছিল। জীবনে আপাতত কীভাবে মুভ অন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি। একটা সময়ে ইন্দ্রনীলকে ঘিরেই আমার জীবন ছিল। এখন নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি।” পনেরো বছরের দাম্পত্যে কেন ভাঙন ধরল? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন স্বামী ইন্দ্রনীলের দিকেই বল ঠেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বরখার সংযোজন, “আমি ভীষণভাবে বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইন্দ্রনীল সম্ভবত নিজের মতো করে জীবনটা শুরু করতে চেয়েছিল। তাই ডিভোর্স চেয়েছে। আমিও জোর করিনি। কারণ জোর করে কাউকে সম্পর্কে আটকে রাখা যায় না। ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।”
২০২১ সালে ইন্দ্রনীল ও বরখার ডিভোর্সের খবর শোনা যায়। গুঞ্জন, টলিপাড়ার আরেক নায়িকার সঙ্গে ইন্দ্রনীলের সম্পর্কের কারণেই নাকি এই বিচ্ছেদ! সেপ্রসঙ্গে বরখার মন্তব্য, “অনেক কিছুই শুনেছি। কিন্তু সত্য-মিথ্যের বিচার করতে চাইনি। সম্পর্কটা থাকছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেন ভাঙছে, সেটা নিয়ে আমি মাথাও ঘামাতে চাই না।” পাশাপাশি অভিনেত্রী ওই সাক্ষাৎকারে এও জানিয়েছেন যে, “ডিভোর্স প্রক্রিয়া পুরোপুরি মিটে গেলে সোশাল মিডিয়ায় নিজের নামরে পাশ থেকে ‘সেনগুপ্ত’ পদবীটা সরিয়ে নেবেন। বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গে যে বরখা বিস্ত এখনও যুঝে চলেছেন, সেটা পরিষ্কার।” এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
এর আগে গতবছর সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে ইন্দ্রনীল বলেছিলেন, “যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, মানে দুটো মানুষ যখন মিউচুয়ালি প্রেমে পড়েছে, তখন কি বলতে পারবে কোন তারিখে প্রেমে পড়েছে? পারবে না। বলতে পারে কোন তারিখে প্রোপোজ করেছে বা বলতে পারে প্রথম কবে ডেটে গিয়েছে। একইরকম ভাবে যখন প্রেম ভাঙে তার তারিখ বলা যায় না। প্রেমে পড়ার থেকেও ভাঙার সময় যেন বেশি সময় লাগে। আমার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক ভাঙায় একটা জিনিস হয়েছে। আমার আশেপাশে যারা ছিল, অনেক পরিচিত, বন্ধুবান্ধব বা ইন্ডাস্ট্রির অনেকে, যাদের সঙ্গে আমি ইন্টার্যাক্ট করতাম, তারা যে ব্যবহার করেছে বা যে ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, আমার মনে হয়েছে তারা জুভেনাইল অ্যাডাল্টস। সেটা আমি জানতে পেরেছি এবং তাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছি। সেইটা আমার পক্ষে ভালো হয়েছে। এটাই বলব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.