সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক পোস্ট কবীর সুমনের (Kabir Suman)। কোনওটায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ভিডিও। কোনওটায় ওপার ঢাকার শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে কণ্ঠ ছাড়ার। আর সোমবারের পর কবীর সুমন, তাঁর ফেসবুকে পোস্ট লিখলেন, ‘নববাংলাদেশ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’।
তবে শুধুই পোস্ট নয়। বাংলাদেশ নিয়ে গানই বেঁধে ফেললেন শিল্পী। ফেসবুক লাইভে এসে গেয়েও শোনালেন অনুরাগীদের। কবীর সুমন জানালেন, তিনি এই গানটি বেঁধেছেন বাংলাদেশের স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের জন্য ।
কবীর সুমন যে গানটি গাইলেন, তার কথাগুলো নিচে দেওয়া হল–
”কতদিন কাঁদিনি
কতদিন ভাবিনি
কতদিন জাগিনি এভাবে
ঐ তো বাংলাদেশ
স্বৈরাচারের শেষ
এ আগুন কেই-বা নেভাবে।
আবার বাঁচতে চাই
মৃত্যুর মুখে ছাই
বাংলা ভাষাই হলো প্রাণ
মুক্তির এই আলো
বাংলাদেশ জ্বালালো
এ লড়াই মুক্তির গান।।”
ছিল ছাত্র আন্দোলন। হয়ে গেল ‘হাসিনা হঠাও’ অভিযান। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি শুধু হাতুড়ি দিয়ে ভাঙাই হয়নি, জেসিপি দিয়ে গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। ইসকন, কালী মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগ। হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকেও নাকি ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। কিন্তু এবার তিনিই ‘বিপ্লবকে কলঙ্কিত’ করার কাতর অনুরোধ জানিয়েছেন। ওদিকে বাংলাদেশের ‘তুফান’ শাকিব খানও দিয়েছেন বিবৃতি।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী সাম্প্রদায়িক হিংসার খবরে বেশ উদ্বিগ্ন আজমেরী হক বাঁধন। অবিলম্বে এই হিংসা ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন তিনি। সবাইকে শান্ত আর্জি জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন, যদি আমাদের হিন্দু ভাই-বোন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হয়।”
এর পরই বাঁধন জানান, তিনি স্বৈরাচারিতার বিপক্ষে। আর সেই কারণেই ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে যে হিংসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তাঁর তীব্র বিরোধিতা করে অভিনেত্রী বলেন, “এই বিপ্লব অযৌক্তিক আক্রমণের কারণে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যাবে না।” বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন নায়িকা। যাতে বাংলাদেশ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
অভিনেতা শাকিব খান লেখেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সবার চাওয়া পূরণ হয়েছে। জয় পেয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই জয়ের আনন্দ যেন আমাদের দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা স্মান করে না দেয়। এই মুহূর্তে আমাদের সবার আরও বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে – সবার আগে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সম্পদ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ যেন নিরাপদে থাকে এবং দেশের সম্পদ সুরক্ষিত থাকে – আসুন আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাই। এটা আমাদের নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.