নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বদীপ দে: ফিরে এল হারানো সময়। রুপোলি পর্দায় ভারতীয় দলের কিংবদন্তি কোচ স্যর সৈয়দ আবদুল রহিম ও তাঁর দামাল ছেলেদের গড়া ইতিহাস ফের জীবন্ত হয়ে উঠল। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি পাবে ‘ময়দান’ ছবিটি। তার আগে রবিবার হাওড়ার শিবপুরের এক মাল্টিপেক্সে হয়ে গেল ছবির বিশেষ স্ক্রিনিং।
সত্যিই ‘বিশেষ’, কেননা প্রযোজক বনি কাপুর-সহ অন্য নির্মাতারা কিংবা ছবির কয়েকজন অভিনেতা হাজির ছিলেন এদিন। কিন্তু তাঁদেরও যেন ছাপিয়ে গেলেন অরুণ ঘোষ। ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়ান গেমসের (Asian Games) সেই বিখ্যাত সোনাজয়ী ভারতীয় দলের খেলোয়াড়। তিনিও এদিন এসেছিলেন প্রেক্ষাগৃহে। সেই ম্যাচের বাকি কুশীলবদের মধ্যে চুনী গোস্বামী, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, বলরাম, রহিম সাহেবের আত্মীয়রাও ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের সেই স্বর্ণালী ইতিহাসকে ফের জীবন্ত হয়ে উঠতে দেখতে।
অরুণ ঘোষ এখন ৮২। বয়সজনিত কারণে প্রায় চলৎশক্তিহীন। কিন্তু বয়স অনেক কিছু কেড়ে নিলেও যা কাড়তে পারে না তা হল স্পিরিট। কথা বলতে কষ্ট হয় অরুণবাবুর। কিন্তু এটুকু বলতে পারলেন, ”’আমরা সবাই চেয়েছিলাম জিতব। তাই জিতেছিলাম।” গলা কাঁপা কাঁপা। কিন্তু প্রত্যয়… অবিকল একই। যা ছিল বাষট্টি বছর আগে। তখন সদ্য বাইশের তরুণ তিনি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল তাঁদের ‘টিম ইন্ডিয়া’। আজ স্মৃতিতে থাবা বসিয়েছে অসুখ। তবু তাঁর পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে জানা গেল রহিম সাহেবের ছবি দেখলে এককথায় বলে দেন, ‘‘আমাদের কোচ।’’ তবে নামটা মনে পড়ে না। কিন্তু মনে আছে বন্ধু পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামীর কথা। কিংবদন্তি চুনীকে তিনি আজীবন ডেকেছেন ‘ক্যাপ্টেন’ নামে। এতদিন পরেও সেই সব কথা তাঁর মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি সময়।
প্রসঙ্গত, জি স্টুডিও, বনি কাপুর, অরুণাভ জয় সেনগুপ্ত এবং আকাশ চাওলা প্রযোজিত ‘ময়দান’-এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন যথাক্রমে সাইভিন কোয়াড্রাস এবং রিতেশ শাহ। সংগীত পিরচালনায় এ আর রহমান। গানের কথা লিখেছেন মনোজ মুনতাশির শুক্লা। ছবিতে রহিম সাহেবের ভূমিকায় রয়েছেন অজয় দেবগন। অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রিয়মণি, গজরাজ রাও, রুদ্রনীল ঘোষ ও একঝাঁক তরুণ অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.