Advertisement
Advertisement
অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি

দেশের প্রথম আইটি দম্পতির প্রেমকাহিনি নিয়ে বলিউড ছবি, পরিচালনায় অশ্বিনী

যুগ্মভাবে অশ্বিনীর সঙ্গে প্রযোজনা করছেন স্বামী নিতিশ তিওয়ারিও।

Ashwini Iyer Tiwari to make film based on country’s first IT couple
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 10, 2019 7:35 pm
  • Updated:August 10, 2019 8:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণ মূর্তি এবং সুধা মূর্তির প্রেমকাহিনি নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ছবি। নেপথ্যে পরিচালক অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির প্রযোজনাও করছেন তিনি। ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি যদিও। তবে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু দিয়েছেন পরিচালক। অশ্বিনী অবশ্য একা প্রযোজনা করছেন না। যুগ্মভাবে তাঁর সঙ্গে প্রযোজনা করছেন স্বামী নিতিশ তিওয়ারি এবং মহাবীর জৈন।

[আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের জের! চলচ্চিত্র উৎসবের সব কমিটি থেকে সরলেন প্রসেনজিৎ]

‘পাঙ্গা’ ছবির কাজ শেষ করেছেন সম্প্রতি। তবে তৃতীয় ছবির কাজ সেরে বিশ্রাম নেওয়া তো দূরের কথা, নারায়ণ এবং সুধা মূর্তির জীবনের উপর ইতিমধ্যেই গবেষণার কাজ শুরু করে দিয়েছেন অশ্বিনী। কারণ, এমন অনুপ্রেরণামূলক গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে তিনি গবেষণা নিয়ে কোনওরকম কার্পণ্য করতে চান না। শুটিং শুরু হবে পরের বছর। তবে পোক্ত হোমওয়ার্ক সারতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন অশ্বিনী। কীভাবে এই দম্পতিকে নিয়ে ছবি করার কথা মাথায় এল? অশ্বিনী জানান, লেখক-পরিচালক সঞ্জয় ত্রিপাঠীই প্রথম এই ভাবনা নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। এই বিষয়বস্তুর উপর গবেষণার কাজ শেষ হলে খুব শিগগিরিই চিত্রনাট্য লেখাও শুরু হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্মজীবনের ২৫ বছর পূর্তি, যাত্রাপথ ফিরে দেখলেন মীর]

পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে পড়াতেন নারায়ণ মূর্তি। এরপরই নিজের একটি আইটি ফার্ম খোলেন তিনি। যা আজ সারা বিশ্বে ইনফোসিস নামে জনপ্রিয়। সালটা ১৯৮১। যেই সেবছরই টেলকোতে প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিযুক্ত হন সুধা। নারায়ণ একটু শান্ত স্বভাবের মানুষ৷ উলটোদিকে সুধা বেশ দৃঢ়, যুক্তিবাদী এবং উচ্চাকাঙ্খী মহিলা ছিলেন। পুণেতেই প্রথম দেখা হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব হয়। একবার সুধাকে নৈশভোজে নিয়ে গিয়ে নারায়ণই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “শোনো আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। আমি কোনও দিন সেভাবে ধনী হতে পারব না। আমার উচ্চতাও ৫’৪, উপরন্তু খুব মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। তুমি সুন্দরী, বুদ্ধিমতী এবং যাকে চাইবে জীবনসঙ্গী হিসেবে তাকেই পেতে পারো। কিন্তু তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?”

গল্পের শুরু সেখান থেকেই। এরপর তাঁদের প্রেমকাহিনির সাক্ষী ইনফোসিসের গগনচুম্বী সাফল্য। সেই কাহিনিই পর্দায় তুলে ধরবেন অশ্বিনী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement