Advertisement
Advertisement
অপর্ণা সেন

‘অপরাধমূলক কাজ, শাস্তি হওয়া উচিত’, দিল্লির নিজামুদ্দিন ইস্যুতে সরব অপর্ণা সেন  

লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের দুস্থদের কথাও ভাবিয়ে তুলেছে পরিচালক-অভিনেত্রীকে।

Aparna Sen opens up on Delhi Nizamuddin Markaz row
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 4, 2020 10:50 am
  • Updated:April 4, 2020 10:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটল ডেস্ক: “ভীষণই বিপজ্জনক এবং অপরাধমূলক কাজ। এবং অতি অবশ্যই এঁদের শাস্তি হওয়া উচিত”, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিঘি জামাত প্রসঙ্গে মন্তব্য খ্যাতনামা পরিচালক তথা অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের। নিজামুদ্দিনের জামাত নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল গোটা দেশ। কারণ, মুসলিমদের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। যাঁদের মধ্যে সিংহভাগের শরীরেই থাবা বসিয়েছে COVID-19। যার জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই নিজামুদ্দিন কাণ্ডেরই তীব্র সমালোচনা করে মুখ খুললেন অপর্ণা সেন।

ধর্মীয় নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী হলেও বিশ্বজুড়ে এমন করোনা ত্রাসের মধ্যেও জামাতের বিরোধিতা করেছেন অপর্ণা। প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে দেশের বিদ্বজ্জনদের অন্যতম মুখ অপর্ণা সেনকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা দেশের মুসলিমরাই কেন শুধু আক্রমণের শিকার হচ্ছে? এমন প্রশ্নও ভিন্ন সময়ে তিনি তুলেছেন। কিন্তু এবার এই কঠিন পরিস্থিতিতে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিঘি জামাতের বিরোধিতা করলেন। শুধু তাই নয়, এই কাজ যে অপরাধমূলক এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য, তীব্র সমালোচনা করে সেকথাও জানান অপর্ণা।

Advertisement

অপর্ণার কথায়, “হ্যাঁ, আমি ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদারনৈতিক মনোভাবাপন্ন। কিন্তু দেশের আইন বিরুদ্ধ কোনও কাজকেই আমি সমর্থন করি না, সেটা কোনও হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টানই করুন বা কোনও শিখ, জৈন, পারসি।” তবলিঘি জামাত ইস্যু ছাড়াও লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের দুস্থদের কথাও তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। “হায় রে, দেশের সিংহভাগ মানুষই বোধহয় করোনার থাবায় নয়, বরং না খেতে পেয়ে মরে যাবে”, মন্তব্য অপর্ণার।  

[আরও পড়ুন: ‘এটা ধর্মীয় সভা করে ভাইরাস ছড়ানোর সময় নয়’, নিজামুদ্দিন ইস্যু নিয়ে সরব রহমান]

করোনা আতঙ্কে বিশ্বের মানুষ এখন গৃহবন্দি। একাধিক দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। কে বলতে পারে, হয়তো বিশ্বজুড়ে এই আর্থিক মন্দার জন্য অচিরেই নেমে আসতে পারে দুর্ভিক্ষ, মন্বন্তর! বেঁচে থাকার প্রাথমিক শর্তপূরণের জন্য লাগবে হাহাকার। ইতিহাসের সূচক তো অন্তত সেই ইঙ্গিতই করছে। এমন পরিস্থিতিতেই জয় গোস্বামীর লেখা ‘গৃহবধূর ডায়েরি’ কবিতাটি পাঠ করলেন অপর্ণা।  

দরিদ্র-প্রান্তিক মানুষগুলির জন্য তাঁর এই উদ্বেগ অপর্ণাকে দিয়ে পাঠ করিয়ে নিল- “আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওই পাগলদের জন্যে, ওই রাস্তার পাগলদের জন্যে, ওই চটপরাদের জন্যে, ওই জটপড়া চুলদাড়ি কিংবা ন্যাড়ামাথাদের জন্যে, আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওরা প্রত্যেক মুহূর্তে কত কত দূরে চলে যাচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেশ ছেড়ে… ওদের কি বাপ-মা নেই ভাইবোন নেই কোন মেয়ে কি ওদের ভালবাসলো না ওরা কাকে চড় মেরে কার হাত ছাড়িয়ে কোন শিকল তোলা ঘরের জানলা টপকে একদিন দিগ্বিদিকে পালিয়ে যায়, যেভাবে উল্কা যায় আকাশে…।”

[আরও পড়ুন: ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ’, দিল্লির নিজামুদ্দিন কাণ্ডে সরব সাংসদ নুসরত জাহান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement