সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালে অরুণ রায়ের প্রয়াণের (Arun Roy’s Demise) পর সোশাল মিডিয়ায় টলিউড ইন্ডাস্ট্রির একাংশ শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন। তবে সেই বিষয়টিরই অন্যভাবে বিশ্লেষণ করলেন অনুরাধা মুখোপাধ্যায় (Anuradha Mukherjee)। বিনোদুনিয়ার বিশিষ্টজনের প্রয়াণের পর সোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশের যে ‘ধারা’, তাতেই আপত্তি অভিনেত্রীর। অনুরাধার সাফ কথা, “বেঁচে থাকতেই মানুষ তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাক।”
‘এগারো’, ‘হীরালাল’, ‘বাঘা যতীন’, ‘বিনয় বাদল দীনেশ’ একের পর এক পিরিয়ড ড্রামা তৈরি করে বাংলার ইতিহাসের পাতাকে সিনেপর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন অরুণাভ রায়চৌধুরী ওরফে অরুণ। তাঁর সিনে মেকিং সমালোচকদের কাছে সমাদৃত হলেও একসময়ে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে যথাযোগ্য জায়গা কিংবা সম্মান পাননি, এমনটাই দাবি অনুরাধার। হয়তো ঠিক সময়ে যোগ্য জায়গা বা স্পটলাইট পেলে আরও ভালো ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারতেন পরিচালক। বৃহস্পিতবার তাঁর প্রয়াণের পর সেই আক্ষেপই যেন ঝড়ে পড়ল অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের পোস্টজুড়ে। সোশাল মিডিয়ায় আক্ষেপ করে ‘নীহারিকা’ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মরে যাওয়ার পর সম্মান না দিয়ে বেঁচে থাকতে উপযুক্ত সম্মান আর তার প্রাপ্য কাজ পাক মানুষ। যেখানে আছো ভালো থেকো অরুণদা। যদি পরের জন্ম বলে কিছু হয়, তাহলে পরের জন্মে অনেক অনেক সিনেমা বানিও।’
‘হীরালাল’ সিনেমার প্রিমিয়ারের সময়ই অরুণ রায়ের সঙ্গে আলাপ অনুরাধার। পরিচালকের কোনও ছবিতে কাজ করেননি তিনি, তবে ‘হীরালাল’ তৈরির সময়ে অরুণ রায়ের কসরত দেখেছেন অনুরাধা। অভিনেত্রীর কথায়, “অরুণদা গোড়ার দিকে কতটা কষ্ট করে ছবি তৈরি করেছিলেন, সেটা আমরা জানি। ‘হীরালাল’ তৈরির জন্য ওঁর সঙ্গে কিঞ্জল নন্দও প্রচুর লড়াই করেছে। তখন কেউ পাশে দাঁড়ায়নি।” তবে এক্ষেত্রে অনুরাধা মুখোপাধ্যায়ের কাছে ‘ব্যতিক্রমী’ দেব। টলি সুপারস্টারের প্রশংসা করে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানালেন, “‘বাঘা যতীন’ তৈরির সময় থেকে শুরু করে পরবর্তীতে অরুণদার ক্যানসার চিকিৎসার সময়েও পাশে থেকেছেন দেবদা। এমনকী হাসপাতালেও দেখতে গিয়েছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.