সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূলোর মতো দাঁত। রক্তাভ চোখ। টিজার দেখে একঝলকে মনে হতেই পারে যে, কোনও ড্রাকুলা কিংবা জম্বি সিনেমা নাকি? আজ্ঞে না! এটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। ছবিতে যে সাতের দশকের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে, তার ইঙ্গিত মিলল টিজারের শুরুতেই অনির্বাণের সংলাপে- “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না। এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না…!” সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে যেখানে রক্তারক্তি, হানাহানি চলছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই ‘ড্রাকুলা স্যর’-এর মতো প্রতীকী এক চরিত্র এঁকেছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। সঙ্গতে চিত্রনাট্যকার কল্লোল লাহিড়ী।
ছবির নামভূমিকায় অর্থাৎ ড্রাকুলা স্যরের চরিত্রে রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। এধরনের চরিত্রে তিনি এই প্রথম। মনস্তাত্ত্বিক এই গল্পের মুখ্য চরিত্র রক্তিম স্কুলে বাংলা পড়ায়। তার ‘ক্যানাইন টিথ’ দুটো একটু বড়। সেই থেকে ‘রক্তিম’-এর নাম হয়ে যায় ‘ড্রাকুলা স্যর’। তার একটা নিজস্ব জার্নি আছে। এই সময়ের প্রেক্ষাপটে ছবির গল্প দানা বাঁধলেও চিত্রনাট্য ১৯৭০-এর প্রেক্ষাপটে।
হঠাৎ করে স্কুল থেকেই ড্রাকুলা স্যর রক্তিম (অনির্বাণ) একদিন পৌঁছে যায় পুলিশ স্টেশন। পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কী করে রক্তিম থেকে ড্রাকুলা স্যরে পরিণত হলেন তিনি। তাঁর ভালবাসা মঞ্জরীই (মিমি) বা কী করে রক্তিমের মুক্তির লড়াইয়ের সঙ্গে জুড়লেন, টিজার দেখে অবশ্য সেই প্লট ঠাহর করা দায়! সাতের দশক যেহেতু ধরা হবে ফলে, ছবিতে নকশাল আন্দোলনের ছোঁয়াও থাকবে। সে ঝলকও মিলল ‘ড্রাকুলা স্যর’-এর প্রথম ঝলকে।
‘ড্রাকুলা স্যর’ প্রসঙ্গে অনির্বাণের মত, এর আগে দর্শকরা সাধারণত যে ধরনের ড্রাকুলা ছবি দেখেছেন, তার চেয়ে ‘ড্রাকুলা স্যর’ পুরোটাই আলাদা। অভিনেতার কথায়, ব়্যামসে ব্রাদার্সের ছবিগুলোর মধ্যে এধরনের একটা স্বাদ ছিল। তবে দেবালয় ভট্টাচার্যের ছবিটা ঠিক সেই ঘরানায় ফেলার মতোও নয়। কাহিনিতে আবার সাইকোলজিক্যাল পরতও রয়েছে। মিমিকেও দেখা গেল অতি সাধারণ লুকে। খোলা চুল, ছিমছাম শাড়ি। তবে মিমিকে এরকম লুকে আগেও দেখা গিয়েছে ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকে পুপের চরিত্রে। পরিচালক দেবালয় অবশ্য পুপের কথা মাথায় রেখেই মিমির চরিত্র মঞ্জরীকে সাজিয়েছেন। উল্লেখ্য, অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং মিমি চক্রবর্তীর পাশাপাশি টিজারে রুদ্রনীল ঘোষকেও দেখা গেল।
একে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। উপরন্তু মুখ্য চরিত্রে টলিউডের দুই প্রথম সারির তারকা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) এবং মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অতঃপর ‘ড্রাকুলা স্যর’ নিয়ে যে বাঙালি দর্শকদের মধ্যে বিশেষ কৌতূহল থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
দেখুন টিজার-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.