সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “১৯৮৪ সালে শিখ দাঙ্গার সময় আমাদের দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে প্রয়োজনে দেশ ছাড়ার হুমকিও এসেছিল আমার পরিবারে কাছে…” ছত্রিশ বছর পর আটের দশকের সেই ভয়াবহ স্মৃতিই ভেসে উঠল অঙ্গদ বেদির (Angad Bedi) চোখের সামনে।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্যা কারগিল গার্ল’। যে ছবিতে অঙ্গদ জাহ্নবীর দাদার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। খুব বেশি স্ক্রিন প্রেজেন্স না থাকলেও বোনের প্রতি পজেসিভ দাদার ভূমিকায় কিন্তু দর্শকের নজর টানতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আর সেই সুবাদেই বর্তমানে খবরের শিরোনামে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিষেণ সিং বেদির ছেলে অঙ্গদ। বিয়ে করেছেন নেহা ধুপিয়াকে। বলিউডে খুব বেশি সিনেমায় তাঁকে দেখাও যায়নি। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যখন নেপোটিজম নিয়ে এত শোরগোল, তখন অঙ্গদ কিন্তু জোর গলায় বলেছেন, “স্বজনপোষণের ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যায়, তবে প্রতিভা না থাকলে বেশি বেশি দূর যাওয়া যায় না!”
বলিউডে পা রেখে কতটা কাঠখড় পোহাতে হয়েছে অঙ্গদকে, সেই বিষয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন এক সংবাদমাধ্যমের কাছে। কথা প্রসঙ্গে সেখানেই শেয়ার করলেন দিল্লিতে শিখ দাঙ্গার সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। বললেন, “একটা সময়ে আমাদের নিজেদের বাড়ি ছিল না, ভাড়ার বাড়িতে থাকতাম। নাহলে এমনও দিন কেটেছে বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটিয়েছি ঝামেলার জন্য। ক্রিকেট খেলতে গিয়েও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। কারণ বাবার নাম বিষেণ সিং বেদি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শিখ দাঙ্গার সময়ে বাবার উপর দিয়ে কী ঝড় গিয়েছিল, কাছ থেকে দেখেছি। দিল্লির পুলিশ আধিকারিকরা আমাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ অবধি দিয়েছিলেন। রাতের পর রাত কাটিয়েছি ‘স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’য় বাবার অফিসে।”
“এখনও মনে আছে, রাজীব গান্ধি হত্যার সময় আবারও দেশের শিখদের টার্গেট করা হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, আমাদের মারার হয় মারুন। কিন্তু এই দেশে জন্মেছি, বড় হয়েছি। তাই যা কিছু হয়ে যাক, দেশ ছাড়ব না! নিজের কিংবা পরিবারের স্ট্রাগল নিয়ে কোনও দিনই খুব একটা কথা বলতে ভালবাসি না। আমার কাছে কাজটাই আসল। নিজের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনিয়ে লোকের সমবেদনার পাত্র হতে চাই না”, মন্তব্য অঙ্গদ বেদির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.