সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্যর আপনি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন? বিগ বি’র এক অনুরাগী সটান তাঁকে এই প্রশ্ন করে বসেছিলেন। উত্তরে অমিতাভ বচ্চন যা বললেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সেটাই রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ সক্রিয়। সে টুইটারই হোক কিংবা নিজের ব্লগে। যে কোনও ইস্যু নিয়েই বরাবর নিজের মতো করে মতপোষণ করে এসেছেন অমিতাভ। তাঁর ব্লগেও রাজনৈতিক-সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুর কথা উঠে এসেছে। তবে রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নিয়ে বিগ বি সচরাচর কোনও দিনই মন্তব্য করেন না। অথচ এই মানুষটিই এক সময়ে কংগ্রেস দলে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকী, সংশ্লিষ্ট দলের হয়ে নির্বাচনে জিতেও ছিলেন। তবে এখন রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন। আর সেই মানুষটিকেই কিনা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার ইচ্ছের কথা জিজ্ঞাসা করা হল! সদ্য তাঁর ব্লগের ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষে একটি পোস্ট করেছিলেন। তারই কমেন্ট সেকশনে এক ভক্ত তাঁকে জিজ্ঞেস করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা কখনও তাঁর ছিল কিনা!
পালটা রসিকতা করে বিগ বি মন্তব্য করেন, “আরে ভাই! সকাল সকাল কিছু শুভ কথা বলো!” বলিউড শাহেনশার দেওয়া উত্তরের ভঙ্গিতেই বেশ বোঝা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও বাসনাই তাঁর নেই। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু রাজীব গান্ধীর সমর্থনে অমিতাভ অভিনয় থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এলাহাবাদ লোকসভা আসনের জন্য উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ এন বহুগুনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন। তবে খুব একটা দীর্ঘ হয়নি তাঁর রাজনৈতিকজীবন। মাত্র ৩ বছর পরই তিনি রাজনীতিকে ‘নর্দমা’ আখ্যা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।
তবে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না থাকলেও তিনি কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। বিহারের কৃষকদেরও একটা সময়ে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। বন্যা দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। এবার করোনা জেরে এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও তাঁর অন্যথা হয়নি! সোনি টিভি এবং কল্যাণ জুয়েলার্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরদের জন্য আর্থিক সাহায্য করেছেন অমিতাভ। সম্প্রতি ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে একথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.