সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাদুর মৃত্যুর পরদিনই পার্লারে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অজয় দেবগন ও কাজলের মেয়ে নাইশাকে। এরপর কিন্তু কাজল বা অজয় বিষযটি নিয়ে বেশি ঘাঁটেননি। স্বাভাবিকভাবেই একসময় চুপ করে যায় নিন্দুকরা। কিন্তু নিন্দা যে পিছু ছাড়েনি, তা মাঝেমধ্যেই বুঝতে পারেন অজয়। তাই এবার আর চুপ না থেকে মুখ খুললেন অভিনেতা। মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
বীরু দেবগণের প্রয়াণে গোটা বলিউডে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, সইফ আলি খান, সুনীল শেট্টি থেকে রানি মুখোপাধ্যায় দেবগন পরিবারের পাশে থাকতে সেদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন অজয়ের বাসভবনে। শেষকৃত্যের সময়ও বীরু দেবগণের বউমা তথা অভিনেত্রী কাজল বন্ধু ঐশ্বর্যের কাঁধে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আর এহেন শোকের পরিস্থিতিতেই কাজল-কন্যা নাইশাকে তার পরদিনই দেখা যায় পার্লারের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। ক্যামেরায় সেই মুহূর্তবন্দি করার সুযোগ বিন্দুমাত্র হাতছাড়া করেননি পাপারাজিরা। আর সেই নেটদুনিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতেই ট্রোলের শিকার হন নাইশা দেবগন। মেয়ের এমন কর্মকাণ্ডে নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
এবার এসবের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুললেন অজয় দেবগন। বললেন, ঠাকুরদা বীরু দেবগনের মৃত্যুর পর থেকেই নাইশা মুষড়ে পড়েন। ক্রমাগত কাঁদতে থাকেন তিনি। তাঁকে থামানো যাচ্ছিল না। মেয়েকে এমন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে তিনিই তাঁকে পার্লারে পাঠান। বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে নাইশার মুড ভাল হয়ে যাবে, এমনই আশা করেছিলেন তিনি। নাইশা কিন্তু যেতে চাননি। পরে অজয়ের জোরাজুরিতেই বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু এর ফলে হিতে যে বিপরীত হবে, তা কে ভেবেছিল? নাইশাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। আর তার ফলে মেয়ের মন ভাল হওয়া তো দূর, আরও খারাপ হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.