ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেএনইউয়ের পড়য়াদের উপর দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় মর্মাহত দীপিকা পাড়ুকোন। ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দিল্লিতে ‘ছপাক’ ছবির প্রচারে গিয়ে কানহাইয়া কুমারের বক্তব্যও শুনে এসেছেন। কথা বলেছেন ঐশীর সঙ্গে। অভিনেত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকে। স্বরা ভাস্কর থেকে অনুরাগ কাশ্যপ, অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এভাবে জেএনইউ ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দীপিকা?
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে দীপিকা জানিয়েছেন, হঠাৎ কেন তিনি ঐশীর পাশে দাঁড়ালেন? আর যদি দাঁড়ালেনই, সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে দায় এড়াতে পারতেন। ঘটনাস্থলে যাওয়ার কী ছিল? সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, দেশজুড়ে যা চলছে, তা নিয়ে তিনি কষ্ট পান। বছর দুই আগে ‘পদ্মাবত’ মুক্তির সময়ও তিনি এই কথা বলেছিলেন। অভিনেত্রীর আশঙ্কা, এখন দেশের যা পরিস্থিতি, তা যেন ভবিষ্যতে না থাকে। এটাই যেন স্বাভাবিক পরিস্থিতি না তৈরি হয়। দীপিকা বলেছেন, তাঁর ভয়ও লাগে, আবার রাগও হয়। রাগ এই কারণেই হয়, যে এখনও পর্যন্ত জেএনইউয়ের ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এরই মাঝে দীপিকার একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটি যদিও বছর ২০ পুরনো। ডি ডি নিউজের সেই ভিডিওয় দীপিকা বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান তিনি। তাঁর মনে হয়, দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য রাহুল ভাবিত। যদিও রাজনীতি নিয়ে তাঁর বিশেষ জ্ঞান নেই। খুব বেশি কিছু তিনি বোঝেন না। কিন্তু টেলিভিশনে যেটুকু দেখেছেন, তা দেখে তাঁর মনে হয় রাহুল গান্ধীর কাজকর্ম দেশের যুব সমাজের কাছে উদাহরণস্বরূপ। ওনার চিন্তাভাবনা একদিকে যেমন সনাতন ধ্যান ধারণার সঙ্গে যুক্ত, তেমনই ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি কাজ করেন। দেশের জন্য রাহুল গান্ধী গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.