Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rudranil Ghosh

‘শুধু সময়ের অপেক্ষা’, শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রুদ্রনীলের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা

টলি অভিনেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণ কি আসন্ন?

Actor Rudranil Ghosh talks about his meeting with BJP leader Suvendu Adhikari, sparks new speculation| Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:January 21, 2021 8:29 pm
  • Updated:January 21, 2021 8:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। জানালেন, রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চান তিনি। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এ নিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। জানালেন, তারপরই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে ফোনে রুদ্রনীল জানান, সোহেল নামের এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দেখা হয়েছিল। প্রাক্তন তৃণমূল ও বর্তমান বিজেপি নেতা তাঁর খুবই পছন্দের মানুষ। শুভেন্দুর কাজের ধরনও রুদ্রনীলের পছন্দ। সেখানেই দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। অনেকদিন ধরেই মানুষের জন্য কাজ করছেন। এবার সক্রিয়ভাবে সেই কাজ করতে চান বলে জানান রুদ্রনীল।

Advertisement

শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছে বলে জানান টলিপাড়ার তারকা। তবে রাজনীতির ময়দানে নামার আগে নিজের অভিনয় জীবনের কমিটমেন্টগুলি পূর্ণ করতে চান রুদ্রনীল। টলিউডের পাশাপাশি বলিউডের ‘ময়দান’ সিনেমার কিছু কাজ বাকি রয়েছে তাঁর। সেগুলি আগে তাঁকে সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা দেরি হবে না বলেই জানান রুদ্রনীল।

[আরও পড়ুন: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত শেষ সিনেমা ‘সময়’! মুক্তির আগে স্মৃতিচারণা পরিচালকের]

শোনা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামতে চলেছেন রুদ্রনীল। জানুয়ারি মাসের শুরুতে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডা। সূত্রের খবর, সেই সাক্ষাতে শঙ্কুই রুদ্রনীলকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, রুদ্রনীল গোড়া থেকেই রাজনীতি সচেতন মানুষ। ছাত্রজীবনেও যুক্ত ছিলেন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে। তবে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় তাঁর৷ মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েক বছর আগে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন তিনি৷ রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি হন৷ হাওড়ার একটি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদেও বসানো হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ ও ২০১৬’র নির্বাচনে ছিলেন শাসকদলের স্টার ক্যাম্পেনার৷

[আরও পড়ুন: ‘তুমি ভালবাসো?’, ইনস্টাগ্রামে কাকে এই প্রশ্ন মিমি চক্রবর্তীর? কৌতূহল তুঙ্গে]

কিন্তু ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সুর কাটে। দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের সঙ্গে। সেবছর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ছিলেন না রুদ্র। রাজ্যে কাটমানির চল থেকে শুরু করে সিন্ডিকেট রাজ- একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান টলি অভিনেতা৷ একে একে সমস্ত সরকারি পদ থেকে সরতে হয় তাঁকে। তারপর প্রায় বছর দেড়েক সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি রুদ্রনীলকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে আছেন টলিপাড়ার এই তারকা। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা আরও একটু জোরদার হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement