সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপরিবার COVID-19 আক্রান্ত বলিউড অভিনেতা পূরব কোহলি! চিকিৎসকের রিপোর্ট তো অন্তত এমনটাই বলছে, জানিয়েছেন পূরব নিজেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি নিজের এবং পরিবারের সকলের যাবতীয় উপসর্গ তুলে ধরেছেন। পূরব আপাতত স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে লন্ডনে রয়েছেন। সেখানেই তাঁদের শরীরের করোনা থাবা বসিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। তবে এখন চিন্তার কোনও কারণ নেই, ধীরে ধীরে তাঁরা যে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেকথাও জানিয়েছেন পূরব কোহলি। পাশাপাশি এই সময়ে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সেই পরামর্শও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্টে পূরব লিখেছেন, সাধারণ ফ্লয়ের মতোই জ্বর হয়েছিল তাঁর। কিন্তু এরপরই ধীরে ধীরে করোনার নানা উপসর্গ ফুটে উঠতে থাকে তাঁদের ৩ জনের শরীরে। শুরু হয় কাশি এবং শ্বাসকষ্টও। এরপরই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যান তাঁরা। সেখানেই চিকিৎসক পূরবকে জানিয়ে দেন যে তাঁর গোটা পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
অভিনেতা জানিয়েছেন, সবার প্রথমে গোলমাল দেখা দেয় তাঁর মেয়ে ইনায়ার শরীরে। তারপর পূরবের স্ত্রী লুসিও বুকে একটা ব্যথা অনুভব করছিলেন। এর সঙ্গে তাঁর ভালরকম কাশিও হয়েছিল। স্ত্রী এবং মেয়ের পর বিভিন্ন উপসর্গে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা পূরব নিজেও। এরপরেই ডাক্তারের কাছে গেলে অভিনেতা জানতে পারেন যে তাঁরা সপরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পূরব আরও জানিয়েছেন, বাড়িতে তিনজনেরই সর্দি-কাশি-জ্বর হয়েছিল দিন কয়েক ধরে। প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রাও ছিল ১০০-র উপরেই। চারপাশের অবস্থা দেখে মনে মনে আশঙ্কায় ভুগছিলেন আগে থেকে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই সেলফ কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন পূরব এবং তাঁর পরিবার। নিয়মিত চলছিল চেক-আপ এবং ওষুধপত্র।
গত সপ্তাহের বুধবার তাঁদের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কেউ যেন প্যানিক না করেন, সেই বার্তা দিতে পূরব নিজের ইনস্টা পোস্টে লিখেছেন, “আশা করব কারও শরীরে যেন করোনা সংক্রমণ না ঘটে। আর যদি হয়েও থাকে, তাহলে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন যে আপনার শরীর ঠিক এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করবে এবং জিতবেও। তবে হ্যাঁ এর জন্য, শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে নিরাপদে থাকবেন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
করোনা সংক্রামিত হলে কীভাবে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে উঠবেন, তারও বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন পূরব। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে দিনে ৪/৫ বার হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করতেন। এমনকী, স্নানও করতেন গরম জলে। বুকে প্রচণ্ড কষ্ট হলে জলের বোতলে গরম জল ভরে খানিকক্ষণ চেপে রাখতেন, এতে খুবই আরাম পাওয়া যায়। তবে ওষুধপত্রের পাশাপাশি সবচেয়ে প্রয়োজন হল বিশ্রাম। তাঁর কথায়, “দু’সপ্তাহ টানা বিশ্রামের পর মনে হচ্ছে এবার ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। তাই বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়া খুবই প্রয়োজন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.