সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য আজও অধরা। ১৯৪৫ সালের বিমান দুর্ঘটনাতেই কি তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল নাকি অন্য বেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন্ন দেশে? এই প্রশ্ন এখনও মনে সদাজাগরুক। আরও একবার সেসমস্ত প্রশ্নগুলি চাড়া দিয়ে উঠল। সৌজন্যে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
দিন দুয়েক আগেই ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলা সিনেমহলের প্রশংসায় তিনি উচ্ছ্বসিত তো বটেই, তবে এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল সৃজিতের আরেক ছবির টিজার। বলা ভাল, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পেল বহু প্রতীক্ষীত ছবি ‘গুমনামি’র ঝলক। কারণ, এই দিনটিই স্বপ্নের দিন ছিল স্বয়ং নেতাজির জীবনে। এই দিনের জন্যই তিনি জীবনভর সংগ্রাম করে গিয়েছেন৷ তাই ১৫ আগস্টকেই জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতারা বেছে নিলেন ছবির টিজার মুক্তির জন্য।
‘গুমনামি’ই কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস? প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। তবে আরও একবার সেই বিতর্কিত প্রশ্ন ছুঁড়েই মুক্তি পেল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি: দ্য গ্রেটেস্ট স্টোরি নেভার টোল্ড’-এর টিজার। হিন্দি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই মুক্তি পেল টিজার। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এল ‘গুমনামি’র ভূমিকায় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লুক। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, চোখে হুবহু সেই গোল ফ্রেমের চশমা। তবে, অমিল বলতে মুখের ধূসর দাড়িগোঁফ। সন্ন্যাসী বেশ। দেখে বোঝার উপায় নেই। রহস্যময় চরিত্র। যাকে ঘিরে কৌতূহলের অন্ত নেই। সাদা কালো ফ্রেমে ধরা দিল ভারতীয় ইতিহাসের ছিঁড়ে যাওয়া কিছু পাতা। উল্লেখ্য, মুক্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লুক বেশ প্রশংসিত হল নেটদুনিয়ায়। তাঁর সঙ্গে ঝলক মিলল অভিনেতা অনিবার্ণ ভট্টাচার্যেরও। যাকে দেখা যাবে এক সাংবাদিকের চরিত্রে।
“এই ছবির প্লট সাজানোর সময়ে আমার ঠিক যতটা রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হয়েছে, সিনেমা দেখার সময়ে দর্শকদেরও ঠিক একইরকম অনুভূতি হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
টিজার প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ছোটবেলা থেকে এই কথাটাই শুনে আসছি, ‘নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি’ । এমনকী আজও গোটা দেশ এবং সংবাদমাধ্যম নেতাজি মৃত্যুরহস্য নিয়ে সন্দিহান। এই ছবির প্লট সাজানোর সময়ে আমার ঠিক যতটা রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হয়েছে, সিনেমা দেখার সময়ে দর্শকদেরও ঠিক একইরকম অনুভূতি হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
প্রেক্ষাপট ১৯৭০ সাল উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে এক সন্ন্যাসীবাবার আবির্ভাব শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে তিনি ‘গুমনামি বাবা’। ‘সুভাষ, আমাদের নেতাজি ফিরেছে…’ রব ওঠে দেশে। অনেকেই মনে করেছিলেন গুমনামি নামের এই সন্ন্যাসীই নাকি ছদ্মবেশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ঠিক-ভুল কারও জানা নেই। গোটা দেশ তখন এই রহস্যভেদের কাহিনি জানতে মরিয়া। কারণ, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নেতাজি গত হয়েছেন প্রায় বছর ২৫। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু থেকে বিমানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। যদিও তার প্রমাণযোগ্য কোনও নথিপত্র নেই। তারপর তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।কাজেই নেতাজির মৃত্যু রহস্যের জট এখনও রয়েছে৷ প্রমাণের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন একজন। চন্দ্রচূড় বাবু। টিজারে যেই চরিত্রে ধরা দিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.