সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পরদিনই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন টালিগঞ্জের প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে। রাখা হয়েছিল আইসিইউতেও। যদিও পরদিন বেলা গড়াতেই খবর মিলেছিল যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু দীপঙ্করকে দিন কয়েকের পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে অভিনেতার শ্বাসকষ্টের সমস্যা এখন আর নেই। দিন চারেকের মাথায় সোমবার স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নবপরিণীতা অভিনেত্রী দোলন দে।
২০ জানুয়ারি, সোমবার সন্ধে প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ সল্টলেকের আমরি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় দীপঙ্কর দে’কে। তবে, অভিনেতাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক ডাঃ অংশুমান মুখোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহের কোনও একদিন ফের স্বাস্থ্য-পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হতে পারে তাঁকে। এমনটাই জানা গেল সূত্রের খবরে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি, দীর্ঘদিনের বান্ধবী এবং লিভ-ইন পার্টনার দোলন রায়কে বিয়ে করেন দীপঙ্কর দে। দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তোরাঁয় আইনি বিবাহ সারেন তাঁরা। কাছের মানুষদের সাক্ষী রেখেই সম্পন্ন হয় রেজিস্ট্রি। খুব ছিমছামভাবে একেবারে প্রায় ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটানোর অঙ্গীকারবদ্ধ হন দোলন-দীপঙ্কর। বিবাহ আসরে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, সৌমিত্র মিত্র, ধ্রুব কুণ্ডু, শীর্ষ সেন এবং লেখক-সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও, দিদির বিয়েতে সাক্ষী থাকার জন্য উপস্থিত ছিলেন দোলনের ভাই দুর্গাশীষ। বন্ধুদের হাসিঠাট্টা, আড্ডার মাঝেই রেজিস্ট্রির পর মালাবদল করেন তাঁরা। নবদম্পতির পরনে ছিল চিরাচরিত বিয়ের পোশাক।
তবে তার তারপর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপঙ্কর দে। দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি’র সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি অভিনেতার পরিবারের লোকেরা। বিকেলে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে আইসিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পালমোনোলজিস্ট ড: অংশুমান মুখোপাধ্যায় ও ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশ্যালিস্ট ড: সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল অভিনেতার। কিন্তু ৪ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে সোমবার রাতে বাড়ি ফিরলেন অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.