সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাস করোনার জেরে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন। অতঃপর সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা সবাই গৃহবন্দী। এমন সময়েই ভাল থাকার এবং নিজেকে ভাল রাখার পাসওয়ার্ড জানালেন টলিউড অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়।
আবিরের কথায়, “এই মুহুর্তে আমিও সবার মতোই গৃহবন্দি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই অনুরোধ করছেন সকলকে বাড়িতে থাকার। কারণ, সেটাই একমাত্র উপায় করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার। একটা অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। সকলের মধ্যেই ভয়, অনিশ্চয়তা, প্যানিক, টেনশন কাজ করছে। কারণ শুধুমাত্র আমার পরিবার কিংবা আমার শহর নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই এই মারণ ভাইরাস সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন, বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন আরেকটু সচেতন হোন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, আইসোলেশন মেনে চলুন। তাহলে হয়তো এই লড়াইয়ের শেষ হাসিটা আমরাই হাসতে পারব। আমরা সকলেই তাকিয়ে রয়েছি সেই সকালটার দিকে, যেদিন আমাদের মধ্যে এই ভয়, উদ্বেগ আর থাকবে না।”
পাশাপাশি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীদের কুর্নিশ জানিয়ে অভিনেতার বক্তব্য, “চিকিৎসক, নার্স তথা সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিকদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা প্রতিটা মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, শুধুমাত্র দেশ এবং দশের স্বার্থে। এছাড়াও এরকম অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা এমন কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও কাজ করছেন শুধুমাত্র আমাদের জন্য, যাতে আমরা যাবতীয় অত্যাবশকীয় জিনিসগুলো হাতের কাছে পেয়ে যাই। অসংখ্য ধন্যবাদ তাঁদেরকেও।” জনগণের কাছে আরজি জানিয়ে আবিরের বার্তা, “প্রশাসনও প্রশংসনীয় কাজ করছে। চলুন ওঁদের কাজটা আমরা আরও সহজ করে দিই।”
তা এই কোয়ারেন্টাইনে কী করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি? জানালেন আবির নিজেই। রসিকতার ছলে বললেন, “বাড়ির কাজ খুব একটা করতে পারি না। তাই আকাজও যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখছি! তবে, সাহায্য করার চেষ্টা করছি। বাকি সময়টা বই পড়ে, সিনেমা দেখে কাটাচ্ছি। ভীষণই বিষাদময় একটা সময়। তাই আমাদেরই দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে পজিটিভ চিন্তাভাবনা বজায় রাখা।” পাশাপাশি অনুরাগীদের আরজি জানিয়েছেন, ইতিবাচক মনোভাব বজায় রেখে চলার। এমন দুঃসময়ে যেহেতু বাইরে বেরনো যাচ্ছে না, তাই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে মন ভাল রাখার পরামর্শও দিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই লকডাউনের জেরে বাজার থেকে যেভাবে নাগরিকদের একাংশ খাদ্যসামগ্রী কেনার জন্য হুড়োহুড়ি করছিলেন, তা নিয়েও সরব হয়েছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এই লকডাউন কতদিন চলবে, আমাদের কারোরও কিন্তু জানা নেই, তাই কঠিন সময়ে খাদ্যসম্পদ আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে কেউ খাবার-জল নষ্ট করবেন না। তাই খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত সামগ্রীতে রাশ টানুন। আপনি টাকা দিয়ে কিনতেই পারেন, তবে মনে রাখবেন এই অত্যাবশকীয় সম্পদ কিন্তু সমাজের সবার জন্য।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.