সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমির খান (Aamir Khan)। নামটাই সিনে-ব্যাকরণ শেখার জন্য যথেষ্ট। একাধারে তিনি যেমন পরিচালক, তেমনই ক্যামেরার খুঁটিনাটিও তার ভালোই জানা। শুধু কী তাই? তিনি বলিউড সিনেপাড়ার ‘প্রোমোশন গুরু’! সিনেমাকে কীভাবে দর্শকদের প্লেট অবধি পৌঁছে দিতে হয়, সেটা আমির খান একাধিকবার ছবি রিলিজের আগে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে বছরখানেক ধরেই বক্সঅফিসে মিস্টার পারফেকশনিস্ট-এর বাজার মন্দা!
শেষ ৮ বছর আগে ‘ব্লকবাস্টার’-এর মুখ দেখেছিলেন আমির খান। বহু পরিশ্রমের ফসল ‘ঠাগস অফ হিন্দোস্তান’ দিয়ে ডুবেছিলেন আর ‘লাল সিং চাড্ডা’ও ফেরাতে পারল না তাঁর কপাল। এবার আমিরের এক সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানেই ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’কে দেখা গেল হাউহাউ করে কেঁদে ফেলতে! জীবনে অর্থকষ্টের কথা বলতে গিয়েই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।
‘হিউম্যানস অফ বম্বে’র এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের কথা বলছিলেন অভিনেতা। একজন বলিউড প্রযোজকের ছেলে হয়েও শৈশবে কতটা অর্থাভাবের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে, সেকথা বলতে গিয়ে চোখ ছাপিয়ে জল চলে আসে আমিরের। স্কুলের ফি অবধি দিতে পারেননি একসময়ে। কেন? আমিরের কথায়, “বাবা সাদামাটা প্রযোজক ছিলেন। ফিল্মি ব্যবসাটা বুঝতেন না। কখনও বাবার সিনেমা চলেছে, আবার অনেক সময়ে চলেনি। তবে সিনেমা ব্যবসা করলেও যে বাবার খুব একটা লাভ হত সেরকম নয়। কারণ সেইসময়ে ছবির চোরাবাজার রমরমিয়ে চলছে। সেই ব্ল্যাক মার্কেটের জন্যই বাবা লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান করতেন। তাই বেশিরভাগ সময়ে প্রযোজকের ঘরে যথাযথ টাকা ঢুকত না। যার মাশুল গুনতে হত আমাদের সকলকেই।”
When Aamir Khan cried over his father’s debt
byu/Flonaaa inBollyBlindsNGossip
আমিরের সংযোজন, “বাবার কাছে কখনোই টাকা থাকত না। পরিবারের এমন পরিস্থিতি ছিল যে বাবা-মা চাইতেন আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সংসারের হাল ধরি। অন্তত সংসারে একটা নিশ্চিত আয় তো থাকবে।…” ছোটবেলার সেসব কথা বলতে গিয়েই ক্যামেরার সামনে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন আমির খান। এই সাক্ষাৎকার যদিও সাম্প্রতিক অতীতের। তবে বর্তমানে বেশ ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি মেয়ে ইরা খানের বিয়ে দিয়েছেন ধুমধাম করে। রিসেপশনে হাজির ছিল গোটা বলিউড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.