Advertisement
Advertisement
হাতি

হাতি-মানুষ দ্বৈরথ, তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দেবে ‘লিভিং উইথ এলিফ্যান্টস’

শশীধর ভাম্পালার তৈরি তথ্যচিত্র দেখানো হবে ২৪ জুলাই৷

A documentary on man-elephant conflict will be screening in Kolkata
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 18, 2019 4:46 pm
  • Updated:July 18, 2019 4:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াইটা অসম৷ বেশ কয়েক বছর ধরেই মানুষ-বন্যপ্রাণের অসম লড়াই চলছে৷ আধুনিকতার ইঁদুরদৌড়ে জঙ্গলের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে নগরায়ন, বিপন্ন থেকে আরও বিপন্ন হচ্ছে বন্যপ্রাণ৷ জঙ্গলরাজ হাতির সেফ করিডর একে একে গ্রাস হয়ে যাচ্ছে মানুষের বাসস্থান তৈরিতে৷ তাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আরও কোনও শক্তিশালী প্রাণীর সঙ্গে লড়াই নয়, হস্তিকুলের সংগ্রাম সরাসরি মানুষের সঙ্গে৷ আর এই সংগ্রামের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র৷

[ আরও পড়ুন: হনুমান চালিশা পাঠ করায় ইসরাত জাহানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ]

‘লিভিং উইথ এলিফ্যান্টস’ নামে তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন শশীধর ভাম্পালা৷ যিনি বন্যপ্রাণ নিয়েই ছবি তৈরির কাজে বিখ্যাত৷ এই প্রথম তিনি নিজের চিত্রনাট্যে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন হাতি-মানুষের এই অসম দ্বৈরথ৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এবার শহর কলকাতায় দেখানো হবে ছবিটি৷ আয়োজনে অন্যতম ব্যঘ্র সংরক্ষণকারী বেসরকারি সংস্থা ‘শের’৷ সংস্থার কর্ণধার জয়দীপ কুণ্ডু জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৪ জুলাই বউবাজারের সেন্ট জোসেফ কলেজের প্রেক্ষাগৃহে বিকেল ৫টা নাগাদ ছবিটি দেখানো হবে৷ সেইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের হাতিদের দেখভালে দায়িত্বে থাকা বনকর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে৷ কলকাতায় এই প্রথম এমন উদ্যোগ নিলাম আমরা৷ আশা করি, এই ডকুমেন্টারির মাধ্যমে জনসচেতনতা একটু হলেও বাড়বে৷’

Advertisement

বাঘ এবং হাতি – জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র এই দুই-ই প্রধান চরিত্র৷ জঙ্গল ছাড়া বাঘ এবং হাতি উভয়েই সংকটের মুখে৷ আবার এরা ছাড়া তৃণভোজী প্রাণীর অস্তিত্ব এবং জঙ্গলজীবনের ভারসাম্যও সমস্যাজনক হয়ে উঠবে৷ তাই জীবজগতকে সচল, সুস্থ রাখার স্বার্থেই জঙ্গলজীবন বাঁচানো, সুরক্ষিত রাখা মানুষের দায়িত্ব বলেই মনে করে শের-সহ অন্যান্য সংগঠনগুলি৷  

[ আরও পড়ুন: ট্রলি না পেয়ে কর্মীকে মারধর রোগীর পরিজনদের, ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে]

সপ্তাহখানেক আগেই ঝাড়গ্রামের সাতবাঁকিতে হাতির দলকে লোকালয় থেকে জঙ্গলে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন হাতির মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী৷ তা নিয়ে তরজাও কম হয়নি৷ বিদ্যুৎ দপ্তর-বনদপ্তরের নজিরবিহীন দ্বন্দ্বও সামনে এসেছে৷ এমনকী এই এলাকার গ্রামবাসীরাও হাতি মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন৷ শ্রাদ্ধের জন্য অর্থসাহায্যও চাওয়া হয়েছে৷ এই প্রেক্ষাপটে শশীধরের ডকুমেন্টারি ‘লিভিং উইথ এলিফ্যান্টস’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষকরা৷

living-with-elephants-N

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement