ফাইল ছবি
সুপর্ণা মজুমদার: টলিপাড়ার মেকআপের প্রধান ভরসা তিনি। এবার জাতীয় পুরস্কারের (70th National Film Awards) মঞ্চে সেরা। অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’ সিনেমার জন্য সেরা রূপটান শিল্পীর জাতীয় পুরস্কার পেলেন সোমনাথ কুণ্ডু (Somnath Kundu)। আর এই পুরস্কার তিনি নিজের বাবার পাশাপাশি উৎসর্গ করলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত চিকিৎসককে।
প্রথম খবর কে জানাল? শ্রীপর্ণা মিত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়, জানালেন সোমনাথ কুণ্ডু। একসঙ্গে তিনজনই ফোন করছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের তফাতে জানালেন খুশির খবর। এর পর প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসানের ফোন। সোমনাথ কুণ্ডুর কথায়, “আমি আসলে একটা শুটে আছি। নবাগত পরিচালক আকাশ মালাকারের নতুন ছবির লুক সেট চলছে। যাই হোক, তিনজনই প্রথম জানায়। তার পর হাসানদা আমাদের প্রযোজক কনফার্ম করায় নিশ্চিত হলাম।”
কেমন অনুভূতি? শিল্পীর কথায়, “ভালোই লেগেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয়বার জাতীয় পুরস্কার এল। আমাদের আরেক বন্ধু এর আগে পেয়েছে রাম রাজক (নগরকীর্তন)। আমাদের মেকআপ ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয়বার এল, ভালোই লাগছে। আরও একটু ওজন বাড়ল। তবে সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে দায়িত্ব বেড়ে গেল আরও ভালো করে কাজ করার। এর পর যদি একটুও ভুল হয় তাহলে লোকজন বেশি সমালোচনা করবে। আমি নিজেও খুঁতখুঁতে। কাজটা যেন আরও ভালো করতে পারি। যাও একটু ফাঁকি মারতাম। আশা করছি এর পর আর ফাঁকি মারব না।”
View this post on Instagram
এর পরই সোমনাথ কুণ্ড জানালেন, জাতীয় পুরস্কার তিনি দুজনকে উৎসর্গ করতে চান। তাঁর কথায়, “এই পুরস্কার বাবাকে ডেডিকেট করতে চাই। বাবা আজ বেঁচে নেই, থাকলে খুব খুশি হতেন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই একজন ছিলেন কস্টিউম বিভাগের। আরেকজন, আমাদের আর জি করের যে চিকিৎসক, ওনাকে আমি নির্ভয়াই বলছি। তো এই দুজনকেই উৎসর্গ করছি জাতীয় পুরস্কার। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দুজনে মিলে যাতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ন্যায়। অবিলম্বে যেন এই দুর্নীতি দমন করা হয়। এবং নারীরা প্রত্যেকে যেভাবে জেগে উঠেছেন, এই নারী জাগরণ দরকার। যাতে কেউ তাঁদের উপর কোনও আঘাত না আনতে পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.